
সিলেটের শহরতলির খাদিমপাড়া এলাকায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে না পারায় সাতটি পরিবার চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি জীবন যাপন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, বাড়ি নির্মাণকালে রাস্তা থাকলেও দেশের পটপরিবর্তনের পর প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো রাস্তাটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, বিগত বছরের ৭ নভেম্বর জামাল আহমদ কামাল রাস্তা বন্ধ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে আবদুল খালিক বক্সসহ ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেটের জেলা প্রশাসক, র্যাব-৯ এর অধিনায়ক, জেলা স্টেডিয়ামের আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার, সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, প্রধান নির্বাহী অফিসার ও উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযোগ দায়েরের আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগী জামাল আহমদ কামাল জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আবদুল খালিক বক্স তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে রাস্তা ব্যবহার করতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। তিনি শাহপরান (রহ.) থানায় বিষয়টি জানালে অভিযুক্ত খালিক বক্স ক্ষুব্ধ হয়ে দীর্ঘদিনের পুরোনো রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করে চলাচল বন্ধ করে দেন এবং মামলা করলে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খাদিমপাড়া এলাকার ২ নম্বর রোডের বাড়িগুলোর সামনে একটি সরু রাস্তার মাথায় উঁচু দেয়াল তোলা হয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আবদুল খালিক বক্স এই দেয়াল নির্মাণ করেন, যার ফলে সাতটি পরিবার কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাস্তাটি জামাল আহমদ ও তার শরীকানদের মালিকানাধীন প্রাইভেট রাস্তা। শাহপরান থানা থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নালিশা ভূমিটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এই রাস্তার নিচ দিয়ে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন স্থাপন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একজন বাসিন্দা জানান, রাস্তাঘাট প্রতিটি মানুষের নাগরিক অধিকার। আবদুল খালিক বক্স অন্যায়ভাবে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং তারা এর প্রতিকার চান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর