
গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেওয়ান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে এ সপ্তাহেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ইউনিয়ন পরিষদের নয়জন সদস্য লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগে তারা মাসুদ রানার অব্যাহতি চেয়ে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান অথবা প্রশাসক নিয়োগের দাবি করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের জন্য আসবাবপত্র কেনার প্রকল্পে ১৪টি অফিশিয়াল টেবিল, ১৩টি আর্মড ভিজিটর চেয়ার ও ৫০টি প্লাস্টিক চেয়ার কেনার কথা থাকলেও তা না করে মাসুদ রানা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। পরিষদে নিম্নমানের ফার্নিচার সরবরাহ করে অন্য ব্র্যান্ডের ভুয়া ভাউচার দাখিল করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ট্যাক্স আদায় করা ৫০ হাজার টাকা পরিষদের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, চৌকিদার ট্যাক্স থেকে সংগ্রহ করা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিজের নামে অগ্রিম বেতন হিসেবে গ্রহণ, ইউনিয়ন তথ্যসেবাকেন্দ্রের আয় থেকে মাসিক ভিত্তিতে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ, ঈদ-উল-ফিতরের আগে শাড়ি বিতরণে স্বজনপ্রীতি, উন্নয়ন প্রকল্পের বণ্টনে স্বজনপ্রীতি, এবং নতুন প্রকল্পের ১০-১৫ শতাংশ ঘুষ দাবি করার অভিযোগও রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলাল হোসেন জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাসুদ রানা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তাঁদের গুরুত্ব না দিয়ে এককভাবে পরিষদ পরিচালনা করছেন।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান দেওয়ান মাসুদ রানা বলেন, অভিযোগের বিষয়গুলো সত্য নয়। তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে বলে তিনি দাবি করেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান সদর উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান জানান, অভিযোগকারী ইউপি সদস্যদের লিখিত জবানবন্দীর প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে এবং এ সপ্তাহেই তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনও-র কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সর্বশেষ খবর