নোয়াখালীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে চৌমুহনী আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) মন্দির প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা শেষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি চৌমুহনী বাজার থেকে শুরু হয়ে চৌরাস্তা প্রদক্ষিণ করে।
অনুষ্ঠানে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) আ ন ম ইমরান, র্যাব-১১ এর (সিপিসি-৩) কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ড, চৌমুহনী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির, কার্যকরী সভাপতি মোরশেদুল আমিন ফয়সালসহ স্থানীয় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৫ জুলাই একই পথে রথটি মন্দিরে ফিরিয়ে আনা হবে, যা উল্টো রথযাত্রা নামে পরিচিত।
ঐতিহাসিক সূত্র অনুযায়ী, সত্যযুগে ওড়িশার মালবদেশের অবন্তী নগরের সূর্যবংশীয় রাজা ইন্দ্রদুম্ন ভগবান বিষ্ণুর জগন্নাথরূপী মূর্তির রথযাত্রা প্রথম শুরু করার আদেশ পান। এরপর রাজা ইন্দ্রদুম্ন পুরীতে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করেন এবং রথযাত্রা প্রচলন করেন।
পুরীর রথযাত্রার আদলে চৈতন্য মহাপ্রভু এই ধারা বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং তাঁর অনুসারী বৈষ্ণবরা বাংলায় রথযাত্রার প্রচলন করেন।
শাস্ত্র অনুযায়ী, রথের ওপর অধিষ্ঠিত বামন জগন্নাথ দেবকে দর্শন করলে পুনর্জন্ম হয় না। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রথ টানাকে পুণ্যের কাজ হিসেবে মনে করে। রথ টানা শুরু হতেই বৃষ্টি নামে এবং ভক্তরা ভিজে আনন্দে মাতোয়ারা হন। রথ থেকে রাস্তায় দাঁড়ানো দর্শনার্থীদের দিকে কলা ও ধানের খই ছোঁড়া হয়। ভক্তরা ভক্তি ভরে রথের রশি টেনে নিয়ে যান। সনাতন ধর্মে রথ টানা মহাপুণ্যের কাজ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় প্রতি বছর এই উৎসব মহাসাড়ম্বরে উদযাপিত হয়।
রার/সা.এ
 সর্বশেষ খবর
  জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর