যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)-এর ইংরেজি বিভাগের উদ্যোগে "ইংলিশ স্টাডিস ইন দ্যা নিউ এরা: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ডায়মেনশন" শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি, বিশ্বায়ন ও পরিবর্তিত শিক্ষানীতির প্রভাবে ইংরেজি শিক্ষার বর্তমান প্রেক্ষাপট, যোগাযোগ, উচ্চশিক্ষা ও পেশাজীবনে এর প্রয়োজনীয়তা এবং অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে এই কনফারেন্স শুরু হয়। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইংরেজি শুধু একটি ভাষা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক দক্ষতা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইংরেজি শিক্ষা এখন সাহিত্যভিত্তিক না থেকে যোগাযোগমুখী, প্রযুক্তিনির্ভর ও গবেষণাভিত্তিক হয়ে উঠেছে।

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. কায়সার হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুদ মর্তুজা (ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজেসের ডিরেক্টর ও অধ্যাপক ড. শায়লা সুলতানা কনফারেন্সে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আধুনিক প্রযুক্তি, বিশ্বায়ন ও পরিবর্তিত শিক্ষানীতির প্রভাবে ইংরেজি শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচকরা তাঁদের বক্তব্যে গবেষণালব্ধ তথ্য, অগ্রগতি ও উন্নয়ন স্লাইড আকারে উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে পোস্টার প্রেজেন্টেশনে যবিপ্রবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও, দিনব্যাপী ইংরেজি বিভাগের ক্লাসরুমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও যবিপ্রবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা ইংরেজি ভাষার উপর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কর্মশালা পরিচালনা করেন।

কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন যবিপ্রবির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. মুনিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কনফারেন্সের আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অনুষ্ঠানে সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারজানা নাসরিন, সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম, ড. তন্ময় মজুমদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. আল ওয়ালিদ, ফারহানা ইয়াসমিন, প্রভাষক শরিফুজ্জামান, মো. আতিকুর রহমানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইংরেজি বিভাগের তাসনিম মাহাবুবা ও কুরাইশা বিনতে হুমায়ন।