
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভৈষেরকোট গ্রামে পুরনো এক্স-রে ফিল্ম ধুয়েমুছে তা থেকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে স্থানীয়দের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
আবুল হোসেন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রায় দুই যুগ আগে ২০০১ সালে ‘আল-আমীন পেপার এজেন্সি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। প্রথমে পরিত্যক্ত ফিল্ম সংগ্রহ করা এবং তা পরিষ্কার করার ধারণাটি অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হলেও, সময়ের সাথে সাথে এটি একটি সফল ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
আবুল হোসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুরনো এক্স-রে ফিল্ম সংগ্রহ করে আনেন। এরপর সেগুলোকে পানিতে ভিজিয়ে ঘষে ফিল্মের প্রিন্ট তুলে ফেলেন। পরে পরিষ্কার করা ফিল্মগুলো রোদে শুকিয়ে ঢাকার বিভিন্ন কারখানায় বিক্রি করেন। এই ফিল্মগুলো গার্মেন্টস শিল্পে শার্ট ও পাঞ্জাবির বক্রম এবং কাপড়ের কলার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
আবুল হোসেন জানান, শুরুতে পরিত্যক্ত ফিল্ম থেকে আয় করা সম্ভব, এটা কেউ বিশ্বাস করতে চাইতো না। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করে প্রতিদিন ৮০০-৯০০ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। তিনি আরও জানান, ধোলাই করা ফিল্মের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, কিন্তু সেই অনুযায়ী জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাপ্ত ফিল্ম পেলে আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন এবং সরেজমিনে গিয়ে দেখবেন। এছাড়া, ফিল্মের রং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিনা এবং বর্জ্যগুলো কোথায় ফেলা হচ্ছে, সে বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর