
ঢাকার জিরাবোতে অবস্থিত সমাজিক কনভেনশন সেন্টারে গতকাল ২৭ জুন শুরু হয়েছে ১৫তম সোশ্যাল বিজনেস ডে ২০২৫। ইউনুস সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈশ্বিক সম্মেলনে নোবেল বিজয়ী, স্বাস্থ্য খাতের নেতৃবৃন্দ, তরুণ উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং ৪০টিরও বেশি দেশের সোশ্যাল বিজনেস অগ্রদূতরা অংশ নিয়েছেন।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো: “সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার সবচেয়ে কার্যকর পথ - সোশ্যাল বিজনেস”। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও ন্যায্যভাবে পুনর্গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও মানুষের ঐক্যকে তুলে ধরা একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এরপর নিবন্ধন, পারস্পরিক পরিচিতি ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সম্মেলনের সূচনা হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশিষ্ট বক্তারা বক্তব্য রাখেন। ড. ইসমাইল সেরাগেলদিন বলেন, "বাস্তব উন্নয়ন হয় নিচ থেকে, যখন দরিদ্ররাই হয়ে ওঠে নিজেদের সম্ভাবনার নির্মাতা।"
ইউগ্লেনার প্রতিষ্ঠাতা মিতসুরু ইজুমো জানান, সোশ্যাল বিজনেস বিশ্ব পরিবর্তনের শক্তি রাখে। অলিম্পিয়ান কাদী কানুতে টুংকারা তরুণ এবং সোশ্যাল উদ্যোক্তাদের "জিরো অজুহাত" নীতিতে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্য দেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “একটি ধারণা আরেকটি ধারণার জন্ম দেয়। আর যখন উদ্ভাবন হয় উদ্দেশ্য নিয়ে, তখন তা আনে স্থায়ী পরিবর্তন। স্বাস্থ্যসেবা কখনোই মুনাফার পণ্য বা দানের বিষয় হওয়া উচিত নয়। এটিকে সংজ্ঞায়িত করতে হবে একটি সোশ্যাল বিজনেস হিসেবে—একটি উদ্দেশ্যনির্ভর, টেকসই মডেল, যা কাঠামোগত সমস্যার সমাধান করে এবং সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।”
সর্বশেষ খবর