
বান্দরবানের লামা উপজেলায় রূপসীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১৫ জন পরীক্ষার্থীর কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশের পর বিদ্যালয়টি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত ৭ জন পরীক্ষার্থী গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে এবং অনিয়মিত ৮ জন পরীক্ষার্থী শহীদ আব্দুল হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
রূপসীপাড়া ইউনিয়নের সদরে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ আটজন শিক্ষক কর্মরত আছেন। তারা হলেন- আবুল কালাম (প্রধান শিক্ষক), কাজী আলাউদ্দিন (সমাজ বিজ্ঞান), মোঃ সলিমুল্লাহ (ইসলাম ধর্ম), সালাউদ্দিন আল মামুন (গণিত), বিপুল কান্তি নাথ (কৃষি শিক্ষা), আনোয়ার হোসেন (ইংরেজি), মাহাবুব আলম (শারীরিক শিক্ষা) ও মহসিন আলী (ভৌত বিজ্ঞান)। বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এবং এটি এমপিওভুক্ত।
অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস হয় না এবং শিক্ষকরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং শিক্ষকদের পাহাড়ি ভাতা থেকেও বঞ্চিত করা হয়।
বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী নাহিদা সুলতানা আফরিন জানায়, দিনে ২/৩ টির বেশি ক্লাস হয় না এবং ক্লাসে অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকে।
প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী আলাউদ্দিনের দাবি, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়াশোনা করে না এবং টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় অভিভাবকদের অনুরোধে তাদের বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহ আলম এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে বলেন, যেখানে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো ফল করছে, সেখানে এই বিদ্যালয়ের এমন ফল লজ্জাজনক।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ মঈন উদ্দিন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষকদের অবহেলা আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর