
মানিকগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে আফরোজা খানম রিতা একজন নির্ভরযোগ্য অভিভাবক হিসেবে পরিচিত। দলের দুঃসময়ে, যখন নেতাকর্মীরা হামলা-মামলায় জর্জরিত, তখন তিনি ছায়ার মতো তাদের পাশে ছিলেন। আদালত, থানা, হাসপাতাল থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের তিনি মানসিকভাবে সহায়তা করেছেন।
হারুনার রশিদ খান মুন্নুর কন্যা আফরোজা খানম রিতা পারিবারিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে রাজনীতিতে এসেছেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রথম নারী সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমানে দলটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিএনপি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন, ২০১৫ সালের সহিংসতা, ২০১৮ সালের নির্বাচন পরবর্তী দমননীতি এবং ২০২৩ সালের আন্দোলন কেন্দ্রিক গ্রেপ্তার অভিযানে রিতা নীরব থেকে মানিকগঞ্জে বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কর্মীদের হতাশ না হয়ে একতাবদ্ধ থাকার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। জামিনের ব্যবস্থা করা, কারাবন্দি কর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, চিকিৎসা খরচ বহন করা এবং ঈদ বা উৎসবে ত্রাণ বিতরণের মতো কাজগুলো তিনি দলীয় দায়িত্ববোধ থেকে করেছেন।
রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও সংঘর্ষের মধ্যেও আফরোজা খানম রিতা উত্তপ্ত বক্তৃতা বা উসকানিমূলক রাজনীতি পরিহার করে সংযত ও মানবিক নেতৃত্ব দিয়েছেন। জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি একজন সজ্জন, শিক্ষিত ও সহানুভূতিশীল নারীনেত্রী হিসেবে পরিচিত।
মানিকগঞ্জে পূর্বে ৩টি সংসদীয় আসন থাকলেও নতুন করে ৪টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে দল তাকে একাধিক আসনে মনোনয়ন দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমানে মানিকগঞ্জে বিএনপি আগের মতো চারটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। রিতার সাংগঠনিক দক্ষতা, পারিবারিক অবস্থান, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও তৃণমূলের আস্থা সবকিছু মিলিয়ে তিনি মানিকগঞ্জ বিএনপির প্রধান চরিত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
তবে জামায়াতে ইসলামীর তৎপরতা বিএনপির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। সিংগাইর, সাটুরিয়া ও সদর এলাকায় জামায়াতের একক প্রচারণা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। এই অবস্থায় দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে রিতার ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান বলেন, আফরোজা খানম রিতা শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলায় তিনি আইনি সহায়তা দিয়েছেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নূরতাজ আলম বাহার বলেন, রিতা আপার মতো নেত্রী পাওয়া আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। তার নেতৃত্বে দল এবং অঙ্গসংগঠনের সকল ইউনিট সুসংগঠিত হচ্ছে।
সর্বশেষ খবর
রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর