
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে জেটিঘাট ও সড়কপথে যানবাহন থামিয়ে চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই বড় ধরনের অভিযান চালাবে পুলিশ। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ।
মঙ্গলবার বিকেলে টেকনাফ মডেল থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কঠোর বার্তা দেন।
ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ বলেন, সীমান্ত এলাকায় মাদকের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এখানে মাদক রোধে সরকার একটি সমন্বিত বড় পরিকল্পনার কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ নিয়ে একযোগে কাজ করছে।
তিনি জানান, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের একটি বড় জনগোষ্ঠী মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এবং অনেকেই একে জীবিকার অংশ হিসেবে নিয়েছে- এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যেই হোক, যেকোনো পর্যায়ের হোক- মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
ডিআইজি পলাশ আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর টেকনাফে যারা নতুন করে চাঁদাবাজিতে জড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর অভিযান শুরু হবে। কোনো চাঁদাবাজকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে জনগণের প্রত্যাশা যেমন উচ্চ, বাস্তব কাঠামো ও সক্ষমতার সীমাবদ্ধতাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
তিনি এও হুঁশিয়ার করে বলেন, পুলিশ সদস্যদের কেউ অপরাধে জড়ালে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
ডিআইজি জানান, পাহাড়ি অঞ্চলে অপহরণকারী ও অস্ত্রধারী চক্রকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এককভাবে পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানো হবে।
তিনি বলেন, সীমান্তে যেসব অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, সেগুলোর কিছু পুলিশের কাছ থেকে লুণ্ঠিত। এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের ধরতে দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) পক্ষ থেকে ২৫ জন পথশিশুর মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও পোশাক বিতরণ করা হয়। পরে থানা প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন ডিআইজি।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাউছার সিকদার, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ পেয়ার, টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর