
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের দুই জমজ ভাই খালেদ আজম ও খালেদ মাহমুদ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে চিকিৎসক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁদের এই অর্জনে শুধু পরিবার নয়, গর্বিত পুরো গ্রাম।
বাবা পীতাম উদ্দিন এবং মা মেহের নেকা বেগমের অনুপ্রেরণায় বেড়ে ওঠা খালেদ ও মাহমুদ ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সব পরীক্ষাতেই তাঁরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। এরপর একসঙ্গে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে সাফল্যের সঙ্গে এমবিবিএস পাস করেন।
খালেদ আজম বলেন, "বড় হয়ে দেখেছি আমাদের গ্রামের সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করেন। আমার স্বপ্ন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো এবং বাবার স্বপ্ন পূরণ করা।" খালেদ মাহমুদ জানান, তাঁদের এই পথচলায় পরিবার, বিশেষ করে মা ও ভাইদের অবদান অনেক। গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করা এবং হারিকেনের আলোয় লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার দিনগুলোতে তাঁরা সবসময় সাহস জুগিয়েছেন।
দুই ভাইয়ের বড় ভাই আরিফুল ইসলাম একটি এনজিওতে কর্মরত এবং অন্য ভাই মিজানুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁদের পরিবার সবসময় বিশ্বাস করত, ছেলেরা একদিন বড় কিছু করবে।
মাছিমপুর গ্রামের স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, খালেদ ও মাহমুদ প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছা থাকলে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও যে কেউ চিকিৎসক হতে পারে। গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে দুই ভাইয়ের এই সাফল্য অনেক তরুণের জন্য অনুপ্রেরণা।
বর্তমানে দুই ভাই তাঁদের নিজ গ্রামে ফিরে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন, যাতে অর্থাভাবে আর কোনো মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর