
নড়াইলে নিজ ঘর থেকে মাধবী বিশ্বাস (৩১) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের নিজ ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মাধবী বিশ্বাস বাগডাঙ্গা গ্রামের হীরামণ বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রী। কালিয়া উপজেলার শুক্ত গ্রামের অরবিন্দু বিশ্বাসের মেয়ে মাধবী বিশ্বাস।
তবে গৃহবধূর স্বজনদের অভিযোগ, নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে মাধবীকে হালকা মারধরের কথা স্বীকার করলেও হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে হীরামণের পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, হত্যা নয় মাধবী আত্মহত্যা করেছে।
জানা যায়, ১৮ বছর আগে মাধবী বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয় হীরামণ বিশ্বাসের। তাদের দু’টি ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ৪-৫ মাস আগে হীরামণ সুদেবীকে (২৬) দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পরে প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে একই বাড়ীতে সংসার করছিলেন। মাঝে মাঝে দুই স্ত্রীর ঝামেলা হয়। বুধবারও দুই স্ত্রীর মাঝে ঝামেলা হয়। বিকালে ঘরে মাধবী বিশ্বাসের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্বজনরা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
মাধবী বিশ্বাসের স্বামী হীরামণ বিশ্বাস বৃহস্পতিবার দুপুরে বিডি২৪লাইভকে জানান, ‘বুধবার দুই স্ত্রীর মাঝে ঝামেলা হয়। ঝামেলার কারনে বিকালে তিনি প্রথম স্ত্রী মাধবীকে হালকা মারধর করে বাড়িতে রেখে দ্বিতীয় স্ত্রী সুদেবীকে তার বাবার বাড়ীতে রাখতে যান। যাওয়ার পথে প্রথম স্ত্রী মাধবী তাকে মোবাইল ফোনে জানান ‘আমার মত আমি চলে গেলাম,তোমরা ভালো থেকো।’ স্ত্রীর ফোন পেয়ে হীরামণ তার চাচাতো ভাই মিঠুনকে ফোন দিয়ে তাদের বাড়িতে যেতে বলেন। পরে মিঠুন তাকে (হীরামণ) ফোন করে জানান মাধবী (প্রথম স্ত্রী) ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেছে।
মাধবীর ফুফাতো ভাই শান্ত অভিযোগ করে বিডি২৪লাইভকে বলেন,‘আমার বোনকে নিয়মিত তার স্বামী হীরামণ মারধর করতো। দ্বিতীয় বিয়ে করে আনার পর থেকে বোনের ওপর অত্যাচার বাড়ায় দেয়। আমার বোনকে মেরে ঝুলায় দিয়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে পালাইছে। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা চাই।'
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।,
সর্বশেষ খবর