
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার পাশাপাশি মানবিক সহায়তার মারাত্মক ঘাটতিতে মৃত্যু ও দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান সংঘর্ষ ও অবরোধের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১৫ জন মানুষ খাদ্যের অভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু এবং নারী।
বৃহস্পতিবার গাজার বিভিন্ন অংশে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও অন্তত ৬২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জন নিহত হন তখন, যখন তারা খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন। একদিকে তীব্র খাদ্য সংকট, অন্যদিকে একের পর এক বিমান হামলায় গাজা কার্যত এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।
গাজায় মার্চ মাস থেকে কার্যত মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। মে মাস থেকে সীমিত সংখ্যক সহায়তা ট্রাক প্রবেশের অনুমতি পেলেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এক বিবৃতিতে জানায়, "গাজায় মানুষ এখন টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে। পরিবারগুলো ক্ষুধা, নিরাপত্তাহীনতা ও বেঁচে থাকার জন্য চরম মানসিক চাপে রয়েছে।"
গাজার হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোও নানাবিধ সমস্যায় পড়েছে। ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানির ঘাটতিতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ‘মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
উল্লেখ্য, গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবরে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে মানবিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে ধাবিত হতে থাকে। ইসরায়েলি অবরোধ এবং যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এখন সেখানে খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও চিকিৎসা সেবার চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। তবে এখনো কোনো কার্যকর সমাধানের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর