
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যাণী এলাকায় কাটাখালী বাঁধ ধসে পড়ায় স্থানীয়দের জীবনযাত্রায় চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কৃষক, বাজারে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ এবং অসুস্থ রোগীদের পরিবহনে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে রবিবার সকাল ১১টায় বগুড়া জেলা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রত্যাশী আসিফ সিরাজ রব্বানী ব্যক্তিগত উদ্যোগে দলের নেতাকর্মী ও যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে বাঁধ এলাকায় একটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে আসিফ সিরাজ রব্বানী বলেন, "এই সাঁকো কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। কিন্তু মানুষ যখন কষ্টে থাকে, তখন তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও মানবিক কর্তব্য। তাই নিজেই উদ্যোগ নিয়েছি।" এ সময় সাঁকো নির্মাণে উপস্থিত ছিলেন সুঘাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান (প্যানেল ১) নুরনবী মণ্ডল হিটলার, সুঘাট ইউনিয়নের সচিব লিটন কুমার দত্ত, স্বেচ্ছাসেবক নেতা শামীম রেজাসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা রিপন, কোরবান, সজিবসহ দশজন ব্যক্তি জানান, বাঁশের এই সাঁকো দিয়ে আপাতত জরুরি কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে তারা অস্থায়ীভাবে সকল কার্যক্রম চালাতে পারবেন। তবে বাঁধ ধসের ফলে নদীর পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কায় এখন ফসলি জমি ও বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার হুমকি রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে খাল থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য বসানো পাইপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাঁধের দক্ষিণ পাশে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় একপর্যায়ে বাঁধটি ভেঙে পানি বাঙালি নদীতে প্রবাহিত হয়। এতে বাঁধের দুই পাশের বাসিন্দাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিপাকে পড়ে বিলজয় সাগর, জয়লা, আওলাকান্দি, জালশুকা, কইগাতি, যুগিগাতি ও রুদ্রবাড়িয়ার মানুষ। বাঁধটি পাকিস্তান আমলে প্রায় ১০০ মিটার নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৩০ বছর আগে সেই বাঁধ ভেঙে গেলে আবারও জনগণ দুর্ভোগে পড়ে। পরে সরকারি সহায়তায় পুনরায় বাঁধ নির্মিত হয়।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর