
জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউইয়র্ক পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। নিজের কর্মনিষ্ঠা, আত্মত্যাগ ও মানবিকতার জন্য নিউইয়র্কবাসীর কাছে এখন তিনি বীরের মর্যাদা পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, ‘তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই এই শহরের প্রতিনিধি। তিনি ঈশ্বরভক্ত, ধর্মনিষ্ঠ এবং একজন বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন। নিউইয়র্ককে তিনি ভালোবেসেছেন হৃদয় দিয়ে। আমি গতকাল রাতেই তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি এবং তাদের বলেছি- তিনি একজন বীর ছিলেন। আমরা তার মতো মানুষকে নিয়ে গর্ব করি।’
সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে একটি বহুতল ভবনে ২৭ বছর বয়সী এক যুবক, শেন ডেভন তামুরা, আকস্মিকভাবে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। সেই প্রাণঘাতী হামলার সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন অফিসার দিদারুল ইসলাম।
ওই হামলায় আরও তিনজন নিহত হন। পরে ওই বন্দুকধারীও মারা যান। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শেন তামুরা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অফিসার দিদারুল ইসলাম সর্বোচ্চ দক্ষতা ও নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করেছেন। শহরের বাসিন্দাদের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার এই মৃত্যু আমাদের গভীরভাবে শোকাহত করেছে। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং আজীবন তার স্মৃতিকে সম্মান জানাব।’
দিদারুল ইসলাম নিউইয়র্কের ব্রঙ্কস এলাকার ৪৭ নম্বর প্রিসিংক্টে কর্মরত ছিলেন। ২০২১ সালে তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে যোগ দেন।
পারিবারিক জীবনেও দিদারুল ছিলেন দায়িত্বশীল। নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিস্চ জানান, দিদারুলের স্ত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে এবং তারা তৃতীয় সন্তানের অপেক্ষায় ছিলেন।
সূত্র : নিউইয়র্ক পোস্ট
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর