
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চেয়ার বিতর্ককে কেন্দ্র করে প্রবীণ রাজনীতিক আলহাজ্ব হাফিজুর রহমানকে অপমান করার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। হাফিজুর রহমান বাশবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং সভাপতিদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজকরা তাকে মঞ্চে বসান।
জানা যায়, সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনাতনে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওই ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. উমর ফারুক, সহকারী পরিচালক মো. আলমাছ উদ্দিন, শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশকের জনসেবায় সক্রিয় সাবেক ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রিয় নেতা আলহাজ্ব হাফিজুর রহমানকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে, কিছুক্ষণ পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মৌখিক নির্দেশে তাকে মঞ্চ ত্যাগ করে দর্শক সারির একদম পেছনে বসানো হয়। এই আচরণে তিনি নিজেও বিস্মিত ও কষ্টে ভোগেন। ঘটনাটি তার রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদার পরিপ্রেক্ষিতে বিশাল বিতর্ক সৃষ্টি করে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, "একজন সম্মানিত নেতাকে এমনভাবে অপমান করা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা রাজনীতির শিষ্টাচার লঙ্ঘন।" সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, "আমি দীর্ঘদিন থেকে জনসেবায় নিয়োজিত। এ ঘটনা আমার জীবনের একটি মর্মান্তিক অধ্যায়।" উপজেলার ১০ জন সভাপতিকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে সেখানে উপস্থিত কোনো সভাপতিকেই নূন্যতম সম্মান করা হয়নি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ওয়াজেদ আলী মৃধা জানালেন, "কর্মচারীর ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করছি।" ইউএনও মারুফ আফজাল রাজন বলেন, "এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।" বাগাতিপাড়ার এই ঘটনাটি নতুন করে স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তাপ সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এটিকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও প্রটোকলের প্রতি অবহেলা ও অবমাননার রূপ হিসেবে দেখছেন। জনমত আশা করছে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর ঘটতে না পারে এবং সকল শ্রেণির নেতাকর্মীকে যথাযথ সম্মান প্রদান করা হয়।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর