পঞ্চগড়ে ‘জুলাই হত্যা’র বিচার ও ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার দাবিতে স্মরণকালের বৃহত্তম বিক্ষোভ মিছিল ‘জুলাই দ্রোহ’ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পঞ্চগড় জেলা শাখা। শনিবার বিকেলে ব্যারিস্টার বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরঙ্গী মোড়ে এসে শেষ হয়। এতে জেলা, উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

চৌরঙ্গী মোড়ে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আবুল বাশার বসুনিয়া, তোফায়েল প্রধান, জুলফিকার রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, শহীদ আবু ছায়েদের ছেলে মামুন ইসলাম ও জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রাশেদ ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা জানান, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর হতে চললেও ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে’র দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখা যাচ্ছে না এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। বক্তাদের অভিযোগ, এখনো স্বৈরাচারের দোসররা পঞ্চগড়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করছে না। অথচ অভিযোগ পেলেই বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতো এবং মিথ্যা মামলায় জড়াতো। বক্তারা আরও বলেন, খুনি হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বিগত দিনে যেভাবে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে ও জীবন দিয়েছে, আগামীতেও ফ্যাসিবাদের উত্থান হলে তাদের প্রতিহত করবে। বক্তারা অবিলম্বে হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি এবং দ্রুত ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার দাবি জানান। অন্যথায় ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের জন্য ছাত্রশিবির আবারও রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।