
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর নারায়ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহেল রানার হাতে সহকর্মী সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ লাঞ্ছিত হয়েছেন। সোমবার সকালে অফিসকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এরপর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।
জানা গেছে, সোমবার সকালে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগত কয়েকজন অতিথির সঙ্গে কথা বলায় ক্লাসে যেতে কিছুটা দেরি হয়। এ সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা অসভ্য ভাষায় কথা বলা শুরু করলে লতিফ প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে সোহেল রানা একাধিক বার ধাক্কা দিলে লতিফ পড়ে গিয়ে আহত হন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সোহেল রানার বিরুদ্ধে এর আগেও বহু অভিযোগ রয়েছে। মেয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, শিক্ষার্থীদের মারধর, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরি নেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। এমনকি এর পূর্বেও তিনি রুহুল আমিনসহ অন্তত আরও তিনজন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
ঘটনার পর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় সুশীল সমাজ অভিযুক্ত সোহেল রানাকে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে। তারা জানায়, অবিলম্বে তাকে অপসারণ না করা হলে তারা মানববন্ধন ও কঠোর আন্দোলনে নামবেন। ঘটনার পর ফেসবুকে প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সুশীল সমাজ সোহেল রানার পদত্যাগ দাবি জানিয়ে পোস্ট ও মন্তব্য করেন। অনেকে এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, ঘটনাটি শতভাগ সত্য। তিনি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান। প্রধান শিক্ষক আবু দাউদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একইভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহেল রানার সঙ্গেও একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর