
বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় স্থানান্তর চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার দুপুরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনের সড়কে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাব্বাত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, নারী ইউপি সদস্য রাবেয়া আক্তার, রেজাউল খান, এন্ত আলী ফকির, শ্যামলী চৌধুরী, সাহেরা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনকারীরা বলেন, ব্রিটিশ আমলে ১৯৪৫ সালে কোড়ামাড়া গ্রামে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় স্থাপিত হয়। ৯০ বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সেবা দিয়ে আসছে এই প্রতিষ্ঠান। ইউনিয়নের মাঝ বরাবর অবস্থিত এই কার্যালয়। কার্যালয়ের কাছেই রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দিরসহ বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এখানে আসার জন্য যাতায়াত ব্যবস্থাও অনেক ভালো, চারদিকের সড়কই পাকা। এরপরেও একটি মহল এখান থেকে কার্যালয় ইউনিয়নের এক পাশে বেশরগাতি এলাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। মানববন্ধনকারীরা হুঁশিয়ারি দেন, "আমরা জীবন দেব, তবু ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় স্থানান্তর করতে দেব না।"
বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এই ইউনিয়নের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। ৯০ বছরের ইতিহাস রয়েছে এই পরিষদের। দীর্ঘ সময়ে এখান থেকে মানুষ সেবা নিয়েছেন। কখনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সর্বোপরি কথা হচ্ছে এই পরিষদটিতে ইউনিয়নের যেকোনো স্থান থেকে সহজেই আসা যায়। এরপরও একটি কুচক্রী মহল এখান থেকে পরিষদ সরিয়ে বেশরগাতি এলাকায় নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছে। বেশরগাতি গ্রামটি ইউনিয়নের এক পাশে অবস্থিত, সেখানে কোনো যুক্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ নেওয়ার কারণ নেই। এরপরও যদি কোনো কুচক্রী মহল এখান থেকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় স্থানান্তর করতে চায়, তাহলে দলমত নির্বিশেষে আমরা প্রতিবাদ করব।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহাব্বাত হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকে দেখেছি এখানে ইউনিয়ন পরিষদ। এখন যারা এই পরিষদ সরানোর চেষ্টা করছে, তারা সুযোগসন্ধানী, আমরা চাই এখানেই পরিষদ থাকুক। নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ সবাই এসেছে ইউনিয়ন পরিষদ এখানে রাখতে। আমরা আশা করি প্রশাসন এখানেই পরিষদ কার্যালয় রাখবেন।
এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদ স্থানান্তরের জন্য আমরা একটি আবেদন পেয়েছি। আবেদনের যৌক্তিকতা নিরুপণে যাচাই-বাছাই করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর