বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের অভ্যন্তরে স্থল মাইন বিস্ফোরণে রকি আলম (২৮) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার দুপুর ১টার দিকে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মেদাই এলাকায় এ বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাইন বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কয়েকজন রোহিঙ্গা। তারা দেখতে পান রকি আলম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ছটফট করছেন। দ্রুত তাকে সীমান্ত পেরিয়ে স্বজনদের সহযোগিতায় উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, বিস্ফোরণে আহত রোহিঙ্গাকে হাসপাতালে নিতে দেখেছি। তার শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ মনে হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল আলম।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের ভেতরে সহিংসতা ও মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়ে গেছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষসহ রোহিঙ্গারা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় একাধিক স্থানে মাইন পুঁতে রাখা হচ্ছে। এসব মাইন বিস্ফোরণে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন অনেকে। ফলে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
সর্বশেষ খবর