
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধানে সীমানা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সীমানা চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ এর ধারা ৬ এবং ধারা ৮ এর অধীন জাতীয় সংসদের পুনঃনির্ধারিত নির্বাচনি এলাকাসমূহের প্রাথমিক তালিকা ৩০ জুলাই বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয় এবং উক্ত বিজ্ঞপ্তির অনুচ্ছেদ ৩ এর অধীন পুনঃনির্ধারিত নির্বাচনি এলাকার বিষয়ে দাবী/ আপত্তি/সুপারিশ/ মতামত আহবান করা হয়। ১৮ আগস্ট নির্ধারিত সময়সূচী মোতাবেক প্রাপ্ত দাবী/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত এর উপর কমিশন কর্তৃক প্রকাশ্য শুনানি গ্রহণ করা হয়।
নির্বাচন কমিশন উক্ত আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৪) অনুযায়ী দাবী/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত সম্বলিত দরখাস্তসমূহে তথ্যাবলী পর্যালোচনা করে এবং শুনানিকালে উপস্থাপিত তথ্য ও যুক্তিতর্ক বিবেচনান্তে প্রাথমিক তালিকায় প্রকাশিত নির্বাচনি এলাকার প্রয়োজনীয় সংশোধন করতঃ এতদসংগে সংযুক্ত তফসিল মোতাবেক জাতীয় সংসদের ৩০০ (তিনশত) আসনের পুনঃনির্ধারিত সীমানার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।
ইসির প্রকাশ করা চূড়ান্ত তালিকা থেকে জানা যায়, ১৯৩ গাজীপুর-১ আসনে রাখা হয়েছে কালিয়াকৈর উপজেলা এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৭ থেকে ১২ ওয়ার্ডগুলোকে। ১৯৪ গাজীপুর-২ আসনে রাখা হয়েছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ৬ ও ১৩ থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডগুলোসহ গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন।
১৯৫ গাজীপুর-৩ আসন গঠন করা হয়েছে
শ্রীপুর উপজেলা এবং গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাউয়াল গড় ও পিরুজালী ইউনিয়ন এবং
গাজীপুর সেনানিবাস এলাকা। ১৯৬ গাজীপুর-৪ আসন গঠন করা হয়েছে কাপাসিয়া উপজেলা। ১৯৭ গাজীপুর-৫ গঠিত হয়েছে কালিগঞ্জ উপজেলা এবং
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড নম্বর ৪০, ৪১ এবং ৪২। ১৯৮ গাজীপুর-৬ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩২ থেকে ৩৯ এবং ৪৩ থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডগুলোকে নিয়ে।
ইসি জানায়, গাজীপুরের ১ টি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর বাগেরহাটের কমানো হয়েছে। এতে করে গাজীপুরে ৫ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬ সংসদীয় আসন হল আর বাগেরহাট ৪ টি থেকে ১ টি কমে ৩ টি হলো।
এদিকে বাগেরহাটে ৪ টি সংসদীয় আসন থেকে ১ কমিয়ে করা ৩টি। ৯৫ বাগেরহাট-১ গঠন করা হয়েছে
বাগেরহাট সদর উপজেলা,মোল্লাহাট উপজেলা এবং
চিতলমারী উপজেলাকে নিয়ে। ৯৬ বাগেরহাট-২ সংদীয় আসনে রাখা হয়েছে ফকিরহাট উপজেলা
রামপাল উপজেলা এবং মোংলা উপজেলাকে এবং
৯৭ বাগেরহাট-৩ আসনে রাখা হয়েছে কচুয়া উপজেলা,মোড়েলগঞ্জ উপজেলা এবং শরণখোলা উপজেলা।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এ রাখা হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা এবং বিজয়নগর উপজেলার ইউনিয়ন ইছাপুর, চম্পকনগর, পত্তন দক্ষিণ সিংগারবিল, পাহাড়পুর ইউনিয়ন ও হরষপুর ইউনিয়ন।
এর আগে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেছেন, ৬৪ জেলার গড় ভোটার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫শ। এটা ধরে জেলায় একটি আসন বাড়ালে তা গাজীপুরে হবে। এ গড়ের কম বাগেরহাটে একটি কমালে সমতা চলে আসে। দুই জেলার আসনই এফেক্টেড হয়েছে। আর কোথাও ঝামেলা নেই। ৩৯টি আসনে অ্যাডজাস্টমেন্ট রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর