
রাজবাড়ীর পাংশা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর একটি দল প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদকের ফরিদপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান অভিযানের নেতৃত্ব দেন। অভিযান শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান যে, পাংশা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সরকারি ফির বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখানে ১২ শতাংশ অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়, যা সরকারি ফির অতিরিক্ত। এছাড়া, একজন নকলনবিস পে-অর্ডারের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। একই সাথে, দলিল লেখক আব্দুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের শতভাগ সত্যতা মিলেছে।
দুদক কর্মকর্তা আরও জানান যে, কিছু বিষয়ে দলিল লেখক সমিতিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে, সাব-রেজিস্ট্রারের ব্যাপারে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
পাংশা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সরকারি ফির অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ মোমেন মিয়া বলেন, "এটা আমার জানা নেই, ওটা দলিল লেখকদের কাজ। পে-অর্ডারের মাধ্যমে যে টাকা নেওয়া হয় এর বাইরে কোনো কিছুই আমার জানা নেই।" সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ মোমেন মিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ারিশ ক্রমিক প্রতি দলিলের জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা, নামের বানান ভুলের জন্য দলিল প্রতি ১ হাজার টাকা, এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি রেজিস্ট্রি করতেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ থাকলেও তিনি তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর