
ঋতুচক্রে প্রকৃতিতে এখন শরৎকাল। শরৎ এলেই নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘের ভেলা। আর গ্রামবাংলার ঝোপঝাড়, রাস্তাঘাট ও নদীর দুই ধারসহ আনাচে-কানাচে কাশফুলের মনমাতানো দৃশ্য চোখে পড়ে। কাশফুল বাতাসে দোল খেলে সে অপরূপ দৃশ্য মন ভরিয়ে দেয়। এমন নয়নাভিরাম সৌন্দর্য যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
উপজেলার নাগর নদীতে গিয়ে দেখা গেছে সাদা কাশফুলের প্রস্ফুটিত রূপ-লাবণ্য, যা প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে অনন্য রূপে। কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেখা গেছে। অনেকে কাশফুলের সঙ্গে ছবি তুলছেন।
কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসা শীতল কুমার বলেন, "এমন নয়নাভিরাম সৌন্দর্য এবং কাশফুলের হেলেদুলে থাকার দৃশ্য অপূর্ব লাগছে। অনেকেই এই কাশফুল দেখতে আসে।"
নন্দীগ্রাম সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আজম বলেন, "ঋতু পরিক্রমায় এখন শরৎকাল। কাশফুল ফুটে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে প্রকৃতিতে। এটি বাংলাদেশের একটি পরিচিত উদ্ভিদ। কাশফুলে রয়েছে বহুবিধ ব্যবহার ও গুণাগুণ। কাশবনের নয়নাভিরাম দৃশ্য টিকিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।"
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, "কাশফুলের আদি নিবাস রোমানিয়ায়। কাশফুলের ইংরেজি নাম ক্যাটকিন। কাশ ছনগোত্রীয় এক ধরনের ঘাস। এ উদ্ভিদটি সাধারণত ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। নদীর ধার, চরাঞ্চল, শুকনো এলাকা, গ্রামের উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে।"
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর