
বগুড়ার নন্দীগ্রামে সিংজানী ডিএসএস সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান দুর্নীতির অভিযোগে জনতার তোপের মুখে পালিয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসাকক্ষে এডহক কমিটির সভাপতি হাসিনা আকতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এই ঘটনা ঘটে। সভায় মাদ্রাসা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এডহক কমিটির সদস্য এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত এলাকাবাসী অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে গত এক বছরে মাদ্রাসার বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনেন। তদন্ত কমিটি ১২ পৃষ্ঠার ১৫৭টি ভাউচার উপস্থাপন করে। অভিযোগ ওঠে, অধ্যক্ষ ফ্লুড কালি দিয়ে মিশিয়ে নিজের ইচ্ছামতো ভাউচার তৈরি করেছেন। তদন্তে ভাউচারগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পর তা সভায় উপস্থাপন করা হয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের এমন দুর্নীতির কারণে এলাকাবাসী তার অপসারণের দাবি জানান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসার উন্নয়নের নামে গত এক বছরে বহু দুর্নীতি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গত দুই বছর আগেও নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। তখন তিনি তার কৃতকর্মের জন্য এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে স্বপদে বহাল ছিলেন। এলাকাবাসী বলেন, "আমরা তাকে গতবার তার কৃতকর্মের ভুলের জন্য ক্ষমা করে দিয়েছিলাম, কিন্তু এইবার তাকে আর এই প্রতিষ্ঠানে দেখতে চাই না। তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই।"
পরে জনসাধারণের মতামত নিয়ে সভায় এডহক কমিটি অধ্যক্ষকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সভা শেষে অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানকে শোকজ লেটার লেখার সময় জনসাধারণের তোপের মুখে তিনি কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা এডহক কমিটির সভাপতি হাসিনা আকতার জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুল মান্নানকে শোকজ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানার জন্য অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুল মান্নানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর