
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অক্সফোর্ড খ্যাত সরকারি ব্রজলাল কলেজে (বিএল কলেজ) নেই কোন ক্যান্টিন ব্যবস্থা। বর্তমানে কলেজটিতে রয়েছে পঁয়ত্রিশ হাজার শিক্ষার্থী। ক্যান্টিন না থাকাই বিপাকে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
১২৩ বছরের বৃহত্তর খুলনার উচ্চশিক্ষার প্রথম বাতিঘরে ২০২২ সালে একটি ক্যান্টিন চালু হয় কিন্তু গত ২৪'র জুলাই অভ্যুত্থানে আগে ক্যান্টিনটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক পাস, ২১টি বিষয়ে স্নাতক সম্মান এবং ২০টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে। রয়েছে ৪টি ছাত্রাবাস ও ৩টি ছাত্রীনিবাস।
প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবত ক্যান্টিনবিহীন থাকায় ছাত্রছাত্রী/কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নানা অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলেজটিতে দ্রুত ক্যান্টিন স্থাপনের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজে কোন ক্যান্টিন ব্যবস্থা নেই, দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করতে হয়। কিন্তু কোনো ক্যান্টিন না থাকায় খাবার, পানীয় বা হালকা নাস্তা পাওয়া যায় না। ফলে বাইরে থেকে অস্বাস্থ্যকর ও অপ্রত্যাশিত মূল্যের খাবার কিনে খেতে হয়, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সময়ের অপচয় হচ্ছে ।
ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্স'র শিক্ষার্থী শেখ ইমরান হোসেন বলেন, সরকারি বিএল কলেজে ক্যান্টিন নেই এটা অত্যান্ত দুঃখজনক। সকাল নয়টা ১৫ থেকে ক্লাস শুরু হয়, অনেক শিক্ষার্থী না খেয়ে আসেন। কলেজে ক্যান্টিন না থাকাই বাইরে থেকে অধিক মুল্যে কিনে খেতে হয়। বাইরে থেকে খাওয়ার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা চাই কলেজটিতে দ্রুতই ক্যান্টিন ব্যবস্থা চালু হোক।
সাতক্ষীরা স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আজমির হোসেন হৃদয় বলেন, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজে আসে। দুপুরের খাবার বাইরে থেকে কিনতে হয় যেটির দাম এবং মান দুইটাই মানসম্মত না হওয়ায় অনেক সময় স্বাস্থ্যগত সমস্যা পড়তে হয়। এজন্য কলেজে ক্যান্টিন ব্যবস্থা থাকলে শিক্ষার্থীদের সময় ও দুর্ভোগ কমবে।
ব্রজলাল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মেহেদী হাসান ইমরান জানান, সকাল নয়টা ১৫ থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়। দূরদূরান্ত থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থী সকালের নাস্তা না করে কলেজে আসে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কলেজে ক্যান্টিন ব্যবস্থা চালু করা হবে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ স্যারের সাথে আমরা কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের আশা অতি দ্রুতই পূর্ণ হবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর