বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে শারদীয় দুর্গোৎসবের বিদায়ের মুহূর্ত এবার ভিন্ন আবেগ ছুঁয়ে গেল ‘ফিলিস্তিন মুক্তির’ প্রার্থনা। সমুদ্র সৈকতের বিশাল বালিয়াড়ি হয়ে উঠে এক চিলতে প্যালেস্টাইন। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) পড়ন্ত বিকেলে কক্সবাজার সাগর-সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ব্যতিক্রমী এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার বিসর্জনের সময় সৈকতের বালুচরে লাখো মানুষের সাথে কক্সবাজারের একদল তরুণ-তরুণী জানান দিলেন ক্ষুধার্ত-উপোস গাজাবাসী আমরাও আছি তোমাদের সঙ্গে।
বিজয়ার আনন্দে মেতে ওঠা মানুষের ঢেউয়ের মাঝেই দাঁড়িয়ে ছিল একদল তরুণ-তরুণী, হাতে বিভিন্ন বার্তা সংবলিত প্ল্যাকার্ড। তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা— ‘বিজয়ার শুভেচ্ছা, ফ্রি প্যালেস্টাইন।’
চারদিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পঞ্চম দিনে মর্ত্যলোক থেকে বিদায় নেন দেবী দুর্গা। বাদ্য বাজনার তালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও নানা আনন্দ আয়োজনের মধ্যদিয়ে দুর্গতিনাশিনী দুর্গাকে বিদায় দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। গতকাল বিকালে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর পূজা পালনে প্রশাসনের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ মানুষের আন্তরিকতায় কক্সবাজারে স্বতঃস্ফূর্ত দুর্গোৎসব পালিত হয়েছে। জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠুর সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, কক্সবাজার হচ্ছে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির তীর্থ কেন্দ্র। যুগ যুগ ধরে প্রতি বছর কক্সবাজারের সব ধর্মের মানুষ শারদীয় দুর্গাপূজাকে উৎসব হিসেবে দেখে আসছে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর