
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা মো. নুরুল আমিন ফটিক অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সম্প্রতি ভুয়া প্রত্যয়নপত্র তৈরি করে স্থানীয় প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়।
জানা গেছে, নুরুল আমিন ফটিক একটি ভুয়া প্রত্যয়নপত্রে ছাগলনাইয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী জসিম উদ্দিনের নাম ও জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করেন। বিষয়টি জানতে পেরে কাজী জসিম উদ্দিন স্পষ্টভাবে জানান, “ওই প্রত্যয়নপত্রে ব্যবহৃত স্বাক্ষরটি সম্পূর্ণ জাল। আমি এমন কোনো কাগজে স্বাক্ষর করিনি।”
এরপরই র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে ফেনী শহর এলাকা থেকে নুরুল আমিন ফটিককে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে ফটিকের বিরুদ্ধে সরকারি খালের জায়গা দখল, কালভার্টের মুখে মুরগির খামার স্থাপন করে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি এবং এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরির গুরুতর অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের দাবি, তার অবৈধ স্থাপনার কারণে লক্ষ্মীপুর ও আশপাশের গ্রামগুলো প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় ভোগে।
উল্লেখ্য, নুরুল আমিন ফটিক ফেনী মডেল থানার ছাত্র হত্যা মামলার ৩৩ নং মামলার ১২৯ নাম্বার আসামি হিসেবেও পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দখলবাজিতে জড়িত ছিলেন।
র্যাবের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “ফেনী ও ছাগলনাইয়া এলাকায় ফটিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ভুয়া প্রত্যয়নপত্র তৈরি ও জাল স্বাক্ষর ব্যবহারের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে। তাকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া চলছে।”
এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, “বছরের পর বছর এই ব্যক্তির কারণে খালের মুখ বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এখন র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তারের পর মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।”
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর