
নবীগঞ্জে মোবাইল চোর ধরতে গিয়ে ছয়জন পুলিশ সদস্য মারপিটের শিকার হয়েছেন। এ সময় চুরির মামলার দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে শহরের ফুলকলির পেছনের শিবপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত কনস্টেবল ইমরানকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে এবং নবীগঞ্জ থানায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শহর ও আশপাশ এলাকায় মোবাইল চুরি ও মাদকের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ কামরুজ্জামানের নির্দেশে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মেহেদী, এসআই মাইনুল, এএসআই মোশাররফের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শহরের আনমনু এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল চুরির মামলার আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করে।
পরে সোহেলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ শহরের শিবপাশা নোয়াপাড়া এলাকায় যায়। সেখানে চোরদের সিন্ডিকেট চক্র ও তাদের পরিবারের লোকজন পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে মামুন মিয়া নামে এক যুবক ধারালো দা দিয়ে কনস্টেবল ইমরানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে রক্ষা করতে দারোগাসহ অপর পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে গেলে তারাও হামলার শিকার হয়ে আহত হন। আহত এসআই মেহেদী, এসআই মাইনুল ও এএসআই মোশাররফসহ পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দা হাতে থাকা রিমনসহ চারজনকে আটক করা হয়। আটক মামুন মিয়া নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত হিরণ মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, বাবুল ও রুমন নামে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে হামলাকারীরা। গ্রেপ্তার সোহেলকে থানায় আনা হয়েছে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এমএ এন সাজেদুর রহমান বলেন, "এটা খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা। মোবাইল চোর ধরতে গিয়ে ছয়জন পুলিশ আহত হয়েছেন। এটি কোনো পূর্ব পরিকল্পিত হামলার ঘটনা কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে। যারা পুলিশের উপর হামলা করে আসামি ছিনতাই করে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। ওই এলাকায় গ্রেপ্তার অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা হয়েছে। মূল হামলাকারীসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।"
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর