
চলতি মাসে ১০ বছর পূর্ণ করছে অ্যাপভিত্তিক সেবাদানকারী কোম্পানি পাঠাও। এ উপলক্ষে ৯ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী ১০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে গ্রাহকদের জন্য ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাক এবং নানা পুরষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে এ কোম্পানি।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাঠাও জানিয়েছে, পাঠাও বাইক, কার, ফুড ও ইন্টারসিটিতে আছে মোট ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। এবং পাঠাও পে-তে এক্সট্রা ৩০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ পাবে গ্রাহকরা। এসব অফার ইতোমধ্যে পাঠাও অ্যাপে লাইভ হয়েছে।
পাঠাও বলছে, ‘ট্রেজার হান্টে’ টানা ২৮ দিনে প্রতিদিন থাকছে নতুন হিন্ট, লুকানো ট্রেজার আর ফোন দুইবার শেক করে ২০০ পাঠাও পয়েন্টস জেতার সুযোগ। প্রতি সপ্তাহে ১০ জন বিজয়ী পাবেন ওরামিয়ো বাংলাদেশের সৌজন্যে মোট ৫ লাখ টাকার পুরস্কার। সাপ্তাহিক পুরস্কার, গ্র্যান্ড সারপ্রাইজ আর চূড়ান্ত ট্রেজার হান্ট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা। গ্রাহকরা ট্রেজার হান্ট যত বেশি খেলবেন তত বেশি জেতার সুযোগ পাবেন।
‘দশে ১০ কুইজ’ খেলে পাঠাও সম্পর্কে ভালা ধারণা রাখা গ্রাহকরা ১ লাখ টাকার পুরষ্কার জেতার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে পাঠাও। পাঠাও বলছে, সোশ্যাল মিডিয়া, ইন-অ্যাপ কার্ড এবং অন-গ্রাউন্ড জোনে এ কুইজ পাওয়া যাবে। কিউআর কোড স্ক্যান করে প্রতিদিনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গ্রাহকরা আর ‘লিডারবোর্ডে’ শীর্ষে অবস্থান করলেই আকর্ষণীয় পুরষ্কার পাবেন।
পাঠাও জানিয়েছে, সবার প্রিয় ‘মেইক আ উইশ’ এবার ফিরে এসেছে ‘Wish পাঠাও’ হিসেবে। এইবার পাঠাও ১০ জন ইউজার এবং ১০ জন পাঠাও হিরোর স্বপ্ন পূরণ করবে। সোশ্যাল মিডিয়া, কুরিয়ার হাব বা ইন-অ্যাপ কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের ইচ্ছা শেয়ার করতে পারবেন, আর নির্বাচিত হলে বিশেষ ‘উইশ ফুলফিলমেন্ট’ অনুষ্ঠানে তা পূরণ করা হবে।
এ উদযাপন পুরো পাঠাও পরিবারের জন্য বলে তুলে ধরে পাঠাও জানিয়েছে, পাঠাও ফুড-এর রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে পার্টনার ব্র্যান্ড, সবাই এ উৎসবে অংশ নিচ্ছে। থাকছে, বিশেষ গিভঅ্যাওয়ে আর শহরজুড়ে এক্সাইটিং অ্যাক্টিভেশন। আর এ মাসে প্রতিটি রাইড বা অর্ডারে গ্রাহকরা আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স জেতার সুযোগ পাবেন।
পাঠও বলেছে, ২০১৫ সালে এক সাহসী স্বপ্ন থেকে শুরু হওয়া যাত্রা পরিণত হয়েছে দেশের প্রথম সুপার অ্যাপে, যা লাখো মানুষকে কানেক্ট করেছে, হাজারো মানুষকে স্বাবলম্বী করেছে এবং যাতায়াত, খাওয়া, ডেলিভারি ও পেমেন্টের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিয়েছে। ১০ বছর পর, পাঠাও আর শুধু গ্রাহকের জীবনের অংশ নয়, এটা তাদের প্রতিদিনের লাইফস্টাইল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত দশকে পাঠাও ৩ লক্ষাধিক পাঠাও রাইডারস, ক্যাপ্টেনস, ফুডম্যান ও ডেলিভারি এজেন্টসকে ক্ষমতায়ন করেছে, ২ লাখ ব্যবসায়ীর সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছে এবং ১ কোটি ইউজারকে আরও সহজ, দ্রুত ও স্মার্ট জীবনের সাথে কানেক্ট করেছে।
“৫ লাখেরও বেশি উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি তৈরি করে, পাঠাও বাংলাদেশের ডিজিটাল উন্নয়নের মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে, মানুষকে এগিয়ে যেতে, উপার্জন করতে এবং একসাথে গ্রো করতে সহায়তা করছে। এই অর্জন দেশ পেরিয়ে পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, ২০২৫ সালে পাঠাও ‘সুপার ব্র্যান্ড’ উপাধি পেয়েছে ‘সুপার অ্যাপ’ বিভাগে। এছাড়া পাঠাও স্থান পেয়েছে ফোর্বস-এর ‘টপ হান্ড্রেড টু ওয়াচ ইন এশিয়া’ তালিকায় ”।
পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, “আমরা যেমন গত ১০ বছর একসাথে গ্রো করেছি, তেমনি আগামী বছরগুলোতেও বাংলাদেশকে সাথে নিয়ে আরও এগিয়ে যেতে চাই।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
কৃষি, অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর