
ভেনিজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো শুক্রবার ভেনিজুয়েলার জনগণকে ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন। তিনি তার দেশের গণতন্ত্র আন্দোলনে ‘সিদ্ধান্তমূলক সহায়তার’ জন্য ট্রাম্পের প্রশংসা করেন।
তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘আমি এই পুরস্কারটি উৎসর্গ করছি ভেনিজুয়েলার দুঃখভোগী জনগণকে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে, আমাদের আন্দোলনের প্রতি তার সিদ্ধান্তমূলক সহায়তার জন্য!’
তিনি আরো লেখেন, ‘আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি এবং আজ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। আমরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জনের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, মার্কিন জনগণ, লাতিন আমেরিকার দেশসমূহ এবং বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সমর্থন ও সহযোগিতার ওপর বিশ্বাস রাখছি।
বামপন্থী একনায়ক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর কারচুপির অভিযোগে কলঙ্কিত নির্বাচনগুলোর পর থেকে এক বছর ধরে মাচাদো ভেনিজুয়েলায় আত্মগোপনে আছেন।
নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারলেও মাচাদো তার প্রতিনিধি সাবেক কূটনীতিক এডমুন্ডো গনজালেজ উরুতিয়ার পক্ষে প্রচার চালান, যাকে আন্তর্জাতিক মহলের বড় অংশ বৈধ বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
নোবেল কমিটি তার ‘ভেনিজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবিরাম প্রচেষ্টা এবং একনায়কতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সংগ্রামের’ স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার প্রদান করেছে।
৫৮ বছর বয়সী মাচাদো ভেনিজুয়েলার উপকূলে বিশাল মার্কিন নৌবাহিনী মোতায়েনের মতো মাদুরোর ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের সামরিক চাপকে ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে সমর্থন জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট এক্সে মাচাদোর সেই পোস্টটি শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি ট্রাম্পকে তার নোবেল উৎসর্গ করেন।
দুইবারের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হেনরিক ক্যাপ্রিলেসের মতো বিরোধী শিবিরের অন্যান্য নেতারাও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ক্যাপ্রিলেস এক্সে লিখেছেন, ‘এই স্বীকৃতি যেন আমাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আরো উৎসাহ জোগায় এবং আমাদের ভেনিজুয়েলাকে দুঃখ-কষ্টের অন্ধকার থেকে মুক্ত করে সেই স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনে, যার জন্য আমরা বহু বছর ধরে লড়ছি।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
সারাবিশ্ব এর সর্বশেষ খবর