
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক কা ল বে লার উপজেলা প্রতিনিধি মো. বাদল হোসেনকে লাঞ্ছিত ও সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা ও উপজলার কর্মরত সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার সকালে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় সাংবাদিকরা ছাড়াও সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনতা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হামলার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। এ পর্যন্ত সাংবাদিকরা যত হামলার শিকার হয়েছেন, কোনোটিও বিচার হয়নি। ফলে এই হামলার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ভালো লক্ষণ নয়। রাষ্ট্রের উচিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিধান করা ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন কার্যকর করা। এ ধরনের দৃষ্টান্ত বারবার ঘটতে থাকলে মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকতা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
গণমাধ্যমকর্মীরা মাঠে সাংবাদিকতা করতে না পারলে রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। যারা সাংবাদিকদের উপর হামলা করছে, শহরের বুকে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সাধারণ মানুষের মনে ভয় সঞ্চার করেছে, তারা যে দলেরই হোক না কেন অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাবার হুশিয়ারী দেন সাংবাদিক নেতারা।
সাংবাদিক সাইদুর রহমান মানিকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, রানীশংকৈল প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, গণ অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মতুর্জা আলম, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ফজলুল কবির, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মোকাদ্দেস হায়াত মিলন, জেলা খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণুপদ রায়, ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল শান্ত, নুর নবী রানা, মুজিবুর রহমান, বাদল হোসেন, সিহাব, সাকিব, ব্যবসায়ী সুলতান আলমগীর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এক নারী বন্ধুকে নিয়ে পীরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব জীবন হামিদ ও ছাত্রদল কর্মী শ্রাবণ-শুভ গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই বান্ধবীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) পোস্ট ও কমেন্ট করায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার থেকে ১২ টা পর্যন্ত পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ভিডিও ধারণকালে যুবদলের লিয়নসহ কয়েকজন সাংবাদিক বাদলকে ঘিরে ধরে। এ সময় তারা মোবাইল ফোন ও গলায় থাকা আইডি কার্ড তারা কেড়ে নেন। এছাড়াও তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালও করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর