
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা ১-এর ইজারাদার নাসির মিয়া অভিযোগ করেছেন যে, একটি দুষ্কৃতকারী চক্র মব সৃষ্টি করে জাদুকাটা নদীর বালু লুট করছে। তিনি জানান, জাদুকাটা নদীর তীর কাটার বিরুদ্ধে তাঁরা শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন এবং প্রতিরোধও করেছিলেন, এমনকি প্রশাসনকে দিয়ে অভিযানও চালিয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, তাঁদের প্রতিপক্ষরা পাড় কাটার সঙ্গে জড়িত এবং একটি চক্রকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে। ইজারা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই হুমকি, মিথ্যা মামলা ও হামলার কারণে তাঁরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সম্প্রতি একটি দুষ্কৃতকারী চক্র রাতের অন্ধকারে মব সৃষ্টি করে নদীর পাড় কেটে বালু লুট করে এবং পুরাতন-নতুন ভিডিও জুড়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ডের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে জাদুকাটা নদীতে পাড় কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান তিনি।
জাদুকাটা ১-এর ইজারাদার নাসির মিয়া জানান, তাঁরা আদালতের আদেশ মেনে নির্ধারিত জাদুকাটা নদীর সীমানার মধ্যে থেকে বালু উত্তোলন করতে শ্রমিকদের বলছেন এবং শ্রমিকরা তা-ই করছেন। জাদুকাটা নদীর তীর কাটার বিরুদ্ধে তাঁরা শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন এবং প্রতিরোধও করেছিলেন, প্রশাসনকে দিয়েও অভিযান চালিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের বাধা মানছে না নদী তীরবর্তী জায়গার মালিক দাবি করা ব্যক্তিরা, তাঁরা বালু উত্তোলন করে তাঁদের বিতর্কিত করছেন।
তিনি আরও বলেন, "আমাদের প্রতিপক্ষরাও এর সঙ্গে জড়িত। আমাদের পাহারাদারদের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা। প্রতিপক্ষরা আমাদের ক্ষতি করতেই উঠেপড়ে লেগেছে। তাই অবৈধভাবে নদীর তীর কেটে বালু উত্তোলন বন্ধে এবং সেখানে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছি।"
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে প্রায় ১০৭ কোটি টাকায় জাদুকাটা ১ ও ২ বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মামলা জটিলতার কারণে দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল, ফলে অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিক বেকার ছিলেন। পরে মামলাটি উচ্চ আদালতে সরকারের পক্ষে যাওয়ায় ইজারাদার আবার বালু তোলা শুরু করেন।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর