
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও নোয়াখালী শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রক্তের বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, শিবিরের জনশক্তিরা সেদিন তাঁর কাছে ১০ মিনিটের অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু তিনি অনুমতি দেননি। যদি অনুমতি দিতেন, তাহলে কাশেমবাজার ছাত্রদল শূন্য হয়ে যেত।
আরমান আরও বলেন, "আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বলেছি। আমরা বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনকে হুঁশিয়ারি করে বলে দিতে চাই, আমরা আমাদের নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম করে যাবো। যদি কেউ বাধা দিতে আসে, তবে আমরা তার মোক্ষম জবাব দিতে সক্ষম। আপনারা ছাত্র সংসদ নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিন, নচেৎ জাতীয় নির্বাচনে জনগণ আপনাদের ছুড়ে ফেলতে দ্বিধা করবে না।"
এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, ছাত্রশিবিরের নিয়মিত কোরআন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে হামলা করে বিএনপি তাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই। তিনি প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান, নচেৎ রাজপথে শিবির তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেমবাজার জামে মসজিদে ছাত্রশিবিরের দারসুল কোরআন কার্যক্রমে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে — এমন অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে ছাত্রশিবির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
এ সময় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক শাহ মাহফুজুল হক, নোয়াখালী শহর আমির মাওলানা ইউসুফ, জামায়াতে ইসলামীর নোয়াখালী-৫ আসনের এমপি পদপ্রার্থী বেলায়েত হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক হারুন রুবেল, নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ সভাপতি সাইফুর রসুল ফুহাদ এবং জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী শহর শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ মায়াজসহ অনেকে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর