যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে চীনের প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো—পেট্রোচায়না, সিনোপেক, সিএনওওসি (CNOOC) ও ঝেনহুয়া অয়েল—রাশিয়ার সমুদ্রপথে পরিবহন করা অপরিশোধিত তেল (ক্রুড অয়েল) কেনা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জ্বালানি কোম্পানি রসনেফট (Rosneft) ও লুকঅয়েলের (Lukoil) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর চীন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে যে তেল আসে, তা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে না—ফলে সেই সরবরাহ আপাতত চালু থাকবে।
চীন প্রতিদিন প্রায় ১.৪ মিলিয়ন ব্যারেল রাশিয়ান তেল সমুদ্রপথে আমদানি করে, যার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর অংশ প্রায় ২.৫ লাখ থেকে ৫ লাখ ব্যারেল। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে পারে এবং বৈশ্বিক বাজারে তেলের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি ব্যবস্থায় নতুন চাপ তৈরি করেছে। অন্যদিকে চীনও আন্তর্জাতিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি এড়াতে আপাতত সরাসরি লেনদেন কমিয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
বিশ্ববাজারে ইতোমধ্যে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে ভারতসহ অন্যান্য আমদানিকারক দেশগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সূত্র: রয়টার্স, ইকনমিক টাইমস, লাইভমিন্ট।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর