জলবায়ু উষ্ণতা থেকে বাঁচতে জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং নবায়ানযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। একই সঙ্গে লবণাক্ততার কবল থেকে কৃষি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সুন্দরবনকে রক্ষার পাশাপাশি ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের মাধ্যমে সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক জলবায়ু কর্মদিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে মোংলার কানাইনগর পশুর নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এই দাবি ওঠে।
জলবায়ুর বিপর্যয়ের কবল থেকে কৃষি, পরিবেশ ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’, ‘পশুর রিভার ওয়াটারকিপার’ এবং ‘ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’-এর যৌথ আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সকাল ৯টায় মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব ও প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ‘সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’-এর সমন্বয়কারী ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ‘ধরা’-এর নেতা ও মোংলা জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার, ‘সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’-এর নেতা ইস্রাফিল বয়াতি, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার পরিবেশযোদ্ধা মেহেদী হাসান, পরিবেশকর্মী জাহিদ হোসেন ব্যাপারী, ফারজানা বেগম, হেনা বেগম, সিরাজ শিকদারসহ স্থানীয়রা।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মো. নূর আলম শেখ বলেন, জলবায়ুর অভিঘাতে সুন্দরবন বিপর্যস্ত। লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলের ৬৪% মানুষ নিরাপদ খাবার পানি থেকে বঞ্চিত। নারীরা জরায়ু ক্যান্সারসহ প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যায় জর্জরিত। জলবায়ু পরিবর্তনকে মানবাধিকার বিবেচনা করে উন্নত বিশ্বকে জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, জেলেদের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কৃষি, ফসল ও মৎস্য সম্পদ জলবায়ুর অভিঘাতে আক্রান্ত। জলবায়ু উদ্বাস্তু উপকূলবাসীদের খাদ্য, পানি ও জমিতে অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
পরিবেশযোদ্ধা ইস্রাফিল বয়াতি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণীর খাদ্য ও প্রজনন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। জলবায়ু বিপর্যয় কবল থেকে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। মানববন্ধনে জেলে, বাওয়ালি, মাওয়ালিসহ বনজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর