র্যাব-৪ ও র্যাব-৫-এর সদস্যরা যৌথভাবে ঢাকা মহানগরস্থ পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১১ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানার অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার মূল আসামি শামীম সরদার (২৫)-কে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার ও অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে।
র্যাব জানায়, শামীম শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার মোল্লাকান্দি মহিষখোলা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানাধীন বারইল এলাকার বাসিন্দা মো. আসিফ হোসেন মন্ডল একই এলাকার ভিকটিমকে ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। আসিফ জীবিকার তাগিদে ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
আসিফের চাচী মোছা. লিমা বেগমের আপন ছোটভাই বিবাদী মো. শামীম সরদার, সেই হিসেবে আসিফের মামা এবং ভিকটিমের মামা শ্বশুর হওয়ায় শামীম আত্মীয়তার সম্পর্কে তাদের বাসায় অবাধে যাতায়াত করতো। আসিফ বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত ২৬ জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩টায় আসামি শামীম ভিকটিমকে তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে ক্ষেতলাল থানা শহরে কেনাকাটা করে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে এসে পথিমধ্যে ইটাখোলা বাজারের মোড়ে অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জন আসামির সহযোগিতায় একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। বিষয়টি ভিকটিমের স্বামী মো. আসিফ মন্ডল জানতে পারেন।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের স্বামী আসিফ ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (নং-০৩, তারিখ-০৫/০৯/২০২৫, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৯(১)। সংশ্লিষ্ট থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার অধিযাচনের প্রেক্ষিতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩-এর একটি আভিযানিক দল অপহরণকারী দের গ্রেপ্তার এবং ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য তৎপর হয়।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এবং র্যাব-৪, সদর কোম্পানি সদস্যরা যৌথভাবে ঢাকা মহানগরস্থ পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১১ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী আসামি শামীম সরদার (২৫)-কে গ্রেপ্তার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানায় র্যাব। অপহৃত ভিকটিম এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বুধবার ক্ষেতলাল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, প্রতারক, হত্যা এবং ধর্ষণ মামলার আসামিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় র্যাব।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর