ভোলার চরফ্যাশনে মোঃ তামিম (১৫) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে রাতের আঁধারে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এসময় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চরফ্যাশন হাসপাতালে রাতেই ভর্তি করা হয়। হত্যার উদ্দেশ্যে তার দুই চাচা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এমন অভিযোগ তামিমের মা আরজু বেগমের। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার দুলারহাট থানার আবুবকরপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। মোঃ তামিম ওই ওয়ার্ডের মোঃ মোস্তফার ছেলে এবং আবুবকরপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্র।
তামিমের মা আরজু বেগম জানান, অভিযুক্ত তার দুই চাচা শেখ ফরিদ ও খোকন তার স্বামীর সৎ ভাই। পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তার স্বামীর সাথে সৎ ভাইদের দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলছিল। তার স্বামী মোস্তফা কর্মের জন্য ঢাকাতে থাকেন। ছেলে তামিমকে নিয়ে সে গ্রামের বাড়ী আবুবকরপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করেন। গত ২৭ অক্টোবর ছেলেকে ঘরে রেখে আরজু তার বাবার বাড়ীতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে তার ছেলেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টার দিকে সুপারি চুরির অপবাদ দিয়ে শেখ ফরিদ ও খোকন মারধর করে।
ছেলে তামিমকে মারধরের ঘটনা শুনে আরজু তার বাবার বাড়ী থেকে স্বামীর বাড়ীতে চলে আসেন। তার ছেলে শনিবার মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে শেখ ফরিদসহ আরো চারজন ব্যক্তি তার ছেলেকে পথরোধ করে। এই সময় শেখ ফরিদ তার ছেলের মাথায় আঘাত করে এবং মারধর করে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলা জখম করে। তাদের মারধর ছেলে তামিম অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর তার হাত পা বেঁধে পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয়। প্রায় তিন ঘন্টা পর তামিমের জ্ঞান ফিরে এলে তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত শেখ ফরিদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তার ভাই খোকন বলেন, তামিম তার ভাতিজা। তাদের সাথে পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে। তবে আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা।
দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর