ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পারিবারিক বিরোধের জেরে এক মৎস্য উদ্যোক্তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর জিথর গ্রামে।
ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা জুয়েল শেখ (৩৫) ওই গ্রামের প্রয়াত নজরুল শেখের ছেলে। এ ঘটনায় তিনি শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ৬ জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রতিপক্ষরা জুয়েলের ৬০ শতাংশ আয়তনের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। পরদিন সকালে পুকুরে ভেসে ওঠে রুই, কাতলা, সিলভার কার্প, শরপুটি ও শিংসহ বিভিন্ন প্রজাতির মৃত মাছ। অভিযোগে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন— শ্রীপুর জিথর গ্রামের প্রয়াত কদ্দুস শেখের তিন ছেলে রতন শেখ (৫০), খলিল শেখ (৫৫), মানিক শেখ (৪৫), রতনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪৫) এবং তাদের দুই ছেলে রাকিব শেখ ও শাকিব শেখ।
ক্ষুব্ধ উদ্যোক্তা জুয়েল শেখ বলেন,“পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ রতন শেখ ও তার সহযোগীরা আমার পুকুরে কীটনাশক জাতীয় বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।”
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, পুকুরের পানিতে শত শত মাছ মৃত অবস্থায় ভেসে আছে। দুর্গন্ধে পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে কোনো পুরুষ সদস্যকে পাওয়া যায়নি। তবে মানিক শেখের স্ত্রী মাসিদা বেগম বলেন, “বাজার ক্রয় নিয়ে রতন শেখের দোকানে জুয়েলদের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। এর বাইরে আর কিছু জানি না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, “যদি কেউ শত্রুতা করে ইচ্ছাকৃতভাবে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করে থাকে, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিকে অফিসে ডাকা হয়েছে, তিনি এলে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়া হবে।”
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “ঘটনাটির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর