আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে না ডাকার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)। দলের অভিযোগ, ২০২৪ সালের তথাকথিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে এসব দল স্বৈরাচার সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। তাই ফ্যাসিবাদমুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে তাদের সংলাপের বাইরে রাখার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে লিখিত দাবি তুলে ধরে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাশেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, “নিবন্ধনের অজুহাতে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে সংলাপে ডাকা ঠিক হবে না। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।”
বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়ার বিষয়ে জাতীয় পার্টির বক্তব্য প্রসঙ্গে রাশেদ খান বলেন, “জাতীয় পার্টি মরা দল। তারা আলোচনায় থাকার জন্য এসব বলছে। গণমাধ্যমকে অনুরোধ করব, তাদের এসব বক্তব্য প্রচার না করতে।”
ইসিতে জমা দেওয়া লিখিত আবেদনে গণঅধিকার পরিষদ উল্লেখ করে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট “স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন” ঘটেছে। কিন্তু তার পরও “ফ্যাসিবাদের আস্ফালন বন্ধ হয়নি”।
তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরা এখনো নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত—সারাদেশে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন, এমনকি মানুষ হত্যার ঘটনাও ঘটানো হচ্ছে “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের” মাধ্যমে।
গণঅধিকার পরিষদ বলেছে, আওয়ামী লীগের দোসর ১৪ দল ও জাতীয় পার্টিকে সংলাপে ডাকলে সেটি “ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে প্রতারণা” হবে। তাদের দাবি, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন যেসব দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে, কেবল সেই দলগুলো নিয়েই নির্বাচন কমিশনের সংলাপ হওয়া উচিত।
অন্যথায়, তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে নামলে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর