রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের চন্দ্রিমা উদ্যানে (জিয়া উদ্যান) চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর এক নারীকে পিটুনি দিয়েছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায়। সেসময় বিএনপি নেতাকর্মীর দাবি করেছিলেন, ওই নারী দলের প্রতিষ্ঠাতা ও শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে তার কবর খোঁড়ার চেষ্টা করছিলেন। নারীটি বলছিলেন, এখানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই।
শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, উদ্ধার হওয়া নারীর নাম সালমা বেগম। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলার বাসিন্দা।
এরপর গত ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে গিয়ে মারধরের শিকার হন এক নারী। পরে গতকাল শুক্রবার গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময়ের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ জানায়, এই নারীর নামও সালমা বেগম।
তাকে মারধরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই আলোচনায় আসে গত ১ সেপ্টেম্বর শহিদ জিয়াউর রহমানের মাজারের ঘটনাটি। নেটিজেনদের দাবি, ধানমণ্ডিতে গ্রেপ্তার হওয়া নারীই সেপ্টেম্বরে জিয়িউর রাহমানের কবর খুঁড়তে গিয়েছিলেন।
নেটিজেনরা চন্দ্রিমা উদ্যান ও ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বারের ভিডিও শেয়ার করে বিভিন্ন পোস্টে দাবি করেছেন, দুটি ঘটনায় জড়িত ওই নারী আসলে একই ব্যক্তি। তার পোশাক, চশমা ও চেহারা একই রকম এবং নামেও মিল রয়েছে।
সর্বশেষ খবর
অন্যান্য... এর সর্বশেষ খবর