কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি কোনো রাজনৈতিক শক্তির অর্জন নয়, বরং “আল্লাহর অসন্তুষ্টির ফল”।
রোববার (১৬ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের সংলাপের দ্বিতীয় সেশনে নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ উর্ধতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন,সংলাপের শুরুতে কাদের সিদ্দিকী বলেন, তিনি প্রস্তাব দিতে আসেননি, বরং ইসির সাংবিধানিক অবস্থানকে সম্মান জানাতেই সংলাপে যোগ দিয়েছেন। “১৫ মাস হলো সরকারের ডাকে যাই না। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যাওয়ার প্রশ্নই আসে না,”—বলেন তিনি। তার অভিযোগ—গত সরকার দেশকে “একেবারে বিভক্ত করে ফেলেছে।”
নিজের বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার পতন কোনো দল বা আন্দোলনের কারণে হয়নি। “আল্লাহ অসন্তুষ্ট হলে তিনিই শাসকের গদি সরিয়ে দেন। আমার বোন শেখ হাসিনা সেই অসন্তুষ্টির কারণ তৈরি করেছিলেন,”—মন্তব্য করেন বঙ্গবীর।
২৪ জুলাইয়ের আন্দোলনকে “টাঙ্গাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জনসমুদ্র” হিসেবে বর্ণনা করলেও তিনি বলেন, আন্দোলন-পরবর্তী কিছু আচরণ তাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। “মুজিববাদ, জিয়াবাদ, ৪৭–৫২–৬৯–৭১—সব অস্বীকার করলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ কেউ দাঁড়াবে না,”— বলেন তিনি।
একই দিনে দুই ভোট আয়োজনকে তিনি ‘অযৌক্তিক’ মন্তব্য করে বলেন—গণভোটের চার প্রশ্নে ভোটাররা কীভাবে আলাদাভাবে মত প্রকাশ করবে, সে বিষয়ে মানুষ এখনও বিভ্রান্ত। গণভোটে কম অংশগ্রহণ হলে জাতীয় নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমাকে হত্যা করা যাবে, কিন্তু মিথ্যা বলানো যাবে না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন—বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান, শেখ হাসিনাকে ‘মায়ের মতো’ দেখার মানসিকতা এবং সব রাজনৈতিক দল, এমনকি ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রতিও তার সম্মান রয়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর