রাশিয়ার নোভোরোসিস্ক বন্দর ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার দু’দিন পর রবিবার আবারও তেল রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জ্বালানি খাতের দুই শিল্পসূত্র এবং এলএসইজি–এর ডেটাও একই তথ্য দেখিয়েছে।
শুক্রবারের হামলার পর বন্দরটি সাময়িকভাবে তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেয়—যা দৈনিক প্রায় ২২ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানির সমান, অর্থাৎ বৈশ্বিক সরবরাহের ২ শতাংশ। রপ্তানি বন্ধের কারণে বৈশ্বিক বাজারে তেলের দাম ২ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়।
শিল্পসূত্র জানায়, হামলার ক্ষয়ক্ষতি আংশিক মেরামত হওয়ায় রপ্তানি পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে। এলএসইজি–এর তথ্যে দেখা গেছে, বন্দরের দুটি ভিন্ন জেটিতে বর্তমানে সুয়েজম্যাক্স ক্লাসের ‘Arlan’ এবং আফ্রাম্যাক্স ক্লাসের ‘Rodos’ নামের দুইটি ট্যাংকারে তেল লোড করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের হামলায় নোভোরোসিস্কের দুটি তেল জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর উপকূলে অবস্থিত নোভোরোসিস্ক বন্দরটি তাদের প্রধান তেল রপ্তানি কেন্দ্র, এবং এখন পর্যন্ত এটিই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় ক্ষতিসাধনকারী হামলা বলে বিবেচিত হচ্ছে।
রাশিয়ার মোট অপরিশোধিত তেল রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ আসে এ বন্দর দিয়ে। দীর্ঘ সময় বন্দরটি বন্ধ থাকলে পশ্চিম সাইবেরিয়ার বহু কূপ বন্ধ করে দিতে হতো, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশের বৈশ্বিক সরবরাহে বড় ধরনের ধাক্কা দিত।
গত কয়েক মাসে ইউক্রেন রাশিয়ার তেল পরিশোধনাগার, ডিপো ও পাইপলাইনে ধারাবাহিক ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও এর ফলে চলতি বছর রাশিয়ার তেল প্রক্রিয়াকরণ মাত্র ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে পূর্বের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল রয়টার্স।
অক্টোবরে নোভোরোসিস্কের শেশখারিস টার্মিনাল দিয়ে রাশিয়া ৩.২২ মিলিয়ন টন (দৈনিক প্রায় ৭.৬ লাখ ব্যারেল) অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করেছে বলে শিল্পসূত্র জানিয়েছে। একই মাসে বন্দর দিয়ে ১.৭৯৪ মিলিয়ন টন তেলজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর