চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের পদবঞ্চিত প্রভাষকদের পদোন্নতির দাবিতে নো প্রমোশন , নো ওয়ার্ক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার সকাল দশটায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গনে এ কর্মসুচি পালন করেছেন বিসিএস( সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকরা।
এ সময় প্রভাষকরা দাবি উঠিয়ে জানান, বিগত ১২ বছর ধরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা প্রভাষক পদে কর্মরত শত শত কর্মকর্তা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। প্রায় ১২ বছর ধরে ২ হাজার ৫০০ প্রভাষক পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। ন্যায্য পদোন্নতির আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান শিক্ষকরা। কর্মসুচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজসহ সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ ও দর্শনা সরকারি কলেজে এ কর্মসুচি পালন করা হয়েছে বলে জানাগেছে।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রভাষক শিক্ষকরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে ৩২ তম ব্যাচ থেকে ৩৭তম ব্যাচ পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ যোগ্য প্রভাষক পদোন্নতি বঞ্চিত আছে। এ নিয়মের অবসান হওয়া দরকার, এটা আমাদের ন্যায্য দাবি। সারাদেশে ২৭ টি ক্যাডারের মধ্যে ২৬টি ক্যাডারের পদোন্নতি হয় শুধুমাত্র শিক্ষা ক্যাডার ছাড়া। অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাবৃন্দ এসময়ে পদোন্নতি পেয়ে পরবর্তি পদোন্নতির জন্য অপেক্ষায় আছে। অথচ প্রভাষকবৃন্দ সকল প্রকার সার্ভিসরুলের শর্ত পূর্ণ করার পরও ১২ বছরের অধিক পদোন্নতি বঞ্চিত আছেন, যা তাদের মধ্যে গভীর হতাশা তৈরি হয়েছে। প্রশাসনিক জটিলতা ও ফাইলে বিলম্বের কারণে আমাদের পদোন্নতির গেজেট ঝুলে আছে। ন্যায্য পদোন্নতির আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। সুতরাং শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে যোগ্য সকল প্রভাষককে সহকারী অধ্যাপক পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিবেন বলে প্রত্যাশা করি।
এ সময় বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল হাসান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বশির আহমেদ মাসুম, শামীমা নাসরিন ও ডলি আক্তার, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মাসুদ আলম, লিপু আহমেদ প্রমুখ।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর