শীতকালীন সবজিতে ভরপুর কাঁচা বাজার। গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম না বাড়লেও হাতের নাগালে এখনও আসেনি। অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। দেশি টমেটো বাজারে আসলেও দাম ১৪০-১৫০ টাকা। আর পেঁয়াজের বাজার ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে রাজবাড়ীর পাংশা পৌর শহরের প্রধান কাঁচাবাজারে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে সবজির দাম তেমনটা বাড়েনি। কিছুটা কমেছে। শীতকালীন সব সবজি বাজারের আসায় সবজির দামটা তুলনামূলক ভাবে কমছে। টমেটোর দাম প্রথম দিকে একটু বেশি থাকে। কিন্তু সময় আরও গেলে সেটাও সস্তা হয়ে যাবে। দেশি বড় টমেটো ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও ছোট টমেটো ৮০-৯০ টাকা কেজি ।
বাজারে মানভেদে ফুলকপি প্রতিপিচ ৪০ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ২০ টাকা, প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৭০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ৩৫ টাকা, লতি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৭৯ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ৯০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এ ছাড়া লাউ প্রতিপিচ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লেবু ৬০ টাকা ডজন, আলু ২০ থোকে ২৫ টাকা কেজি, ধনে পাতা ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সকালে সবজি বিক্রেতা আনিসুল ইসলাম বলেন, সবজীর দাম কিছুটা কমেছে। এখনো ১০০ টাকার নিচে কম সবজি পাওয়া যায়। কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা প্রতিটি সবজির দাম। ফুলকপি, বাঁধাকপি বাজারে আসার কারণে কিছুটা সবজির দাম কমেছে। বিভিন্ন শাকের দামও কম আছে। আগে ২০ টাকা ৩০ টাকা আর্টব বিক্রয় হলেও, এখন ১০ থেকে ১৫ টাকাটি বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়াও গ্রামের বাজারে সবজির দাম আরো কম। বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরও পাইকারি দাম কমছে না। আমাদের বেশি দামে কিনতে হয় তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজারে লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২০-৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০, কলমি শাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
সবজি ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, শীতকালীন সব সবজিই আছে। দামটা এখনো কম না। অনেক সবজীর দাম হয়তো কমেছে। তবে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আরো কমলে ভালো হয়।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর