• ঢাকা
  • ঢাকা, রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ১ সেকেন্ড পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:৩৪ দুপুর

লক্ষাধিক প্রাণহানির শঙ্কায় মারাত্মক ভূমিকম্প ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম 

ফাইল ফটো

বার্মিজ, ইন্ডিয়ান এবং ইউরেশীয় তিনটি গতিশীল টেকটনিক প্লেটের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে মারাত্মক ভূমিকম্প ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে নগরীর প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে এবং প্রাণহানি লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে। যার অন্যতম কারণ হচ্ছে- নিয়ম–নীতি না মেনে গড়ে ওঠা বিপুলসংখ্যক বহুতল ভবন, ফলে ৬০ বর্গমাইলের এই পুরো নগরীকেই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। 

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে শক্তিশালী ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। নজিরবিহীন এই ঝাঁকুনিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের চারদিকে অবস্থানরত সক্রিয় টেকটনিক প্লেটগুলো অস্বাভাবিক গতিশীল। চট্টগ্রাম নগরীর ভূগর্ভেও একটি মাইনর টেকটনিক প্লেট সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। প্লেটগুলোর ধারাবাহিক নড়াচড়ার কারণে ২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ২১২ বার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। একই সময়ে নগরীতে অনুমোদনহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক হাজার।

চুয়েটের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চট্টগ্রামের বহু ভবনের বয়স ৫০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে। এগুলোর প্রায় ৭৫ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন অনেক ভবনও ভূমিকম্প প্রতিরোধী নকশা ছাড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানায়, নগরীতে বর্তমানে ৪ লাখ ১ হাজার ৭২১টি বহুতল ভবন রয়েছে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৪৮০টি ভবনের উচ্চতা ৬ থেকে ১০ তলা, আর ৪৮৪টি ভবন ১০ তলার বেশি। অনেক ভবনে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়নি। উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় নির্মাণসামগ্রী দ্রুত ক্ষয়প্রবণ হওয়া এবং সংকীর্ণ সড়কগুলো দুর্ঘটনার সময় উদ্ধারকাজে বড় বাধা হতে পারে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার এবং সাগরের নিকটে হওয়ায় নির্মাণসামগ্রীর কিউরিং প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় ভবনগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।

গত চার বছরে দেশের ভেতরে ৩৭টি ভূকম্পন ঘটলেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে শুক্রবারের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প রাজধানী ও চট্টগ্রাম—দুই জায়গাতেই বাস্তব ঝুঁকি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে।

চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মনজারে খোরশেদ আলম বলেন, যেসব ভবন রেট্রোফিটিং করে ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব, সেগুলো করতে হবে। আর যেগুলো টেকনিক্যালি ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব নয়, সেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। উদ্ধারকারী বাহিনীর গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করতে সংকীর্ণ সড়কগুলো প্রশস্ত করতে হবে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত নিয়মিত মানুষকে সতর্ক করা।

বাংলাদেশ–ইন্ডিয়ান প্লেটের সৃষ্ট বড় ভূকম্পনের উদাহরণ অতীতেও রয়েছে। ১৯১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। গত ১০৭ বছরে দেশে অনুভূত বেশিরভাগ ভূকম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ থেকে সাড়ে ৫।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, বড় ধরনের ভূমিকম্প যে কোনো সময় ঘটতে পারে এবং যথাযথ প্রস্তুতি না থাকলে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। 

মাসুম/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]