ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার প্রধান প্রবেশদ্বারের গুরুত্বপূর্ণ গৌরীপুর–কলতাপাড়া আঞ্চলিক সড়কের দেড় কিলোমিটার ভাঙাচোরা অংশ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী। কেউ দিয়েছেন ইট, কেউ দিয়েছেন বালু, কেউ নগদ অর্থ, আবার কেউ শ্রম দিয়ে যুক্ত হয়েছেন এই কাজে। সবার অংশগ্রহণে সড়কটি সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী হয়ে উঠেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, দীর্ঘদিনের ভোগান্তি স্থানীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল করে।
কিন্তু গৌরীপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁতকুড়া বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে ছিল। শুকনো মৌসুমে কোনো রকম যাতায়াত করা গেলেও বৃষ্টি হলে সড়কটি কাদা–পানিতে ডুবে একেবারে অচল হয়ে যেত। ফলে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক, চাকরিজীবীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী বহনে সড়কের এ অবস্থায় আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতো। প্রায়ই যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটতো। আসন্ন বর্ষা মোকাবিলায় সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেন গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সোমবার (২৪ নভেম্বর/২৫) সকাল থেকে প্রায় শতাধিক নেতা–কর্মী সড়কে ইট–বালু ফেলে স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার কাজে অংশ নেন। পরে স্থানীয়রাও এসে যোগ দেন এ কাজে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সন্ধ্যার আগেই সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও চালকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। গৌরীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলী আকবর আনিছ বলেন— “প্রবেশদ্বারের এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল থাকায় মানুষ চরম দুর্ভোগে ছিল। আমরা উদ্যোগ নেওয়ার পর সবাই সহযোগিতা করেছেন—কেউ অর্থ দিয়ে, কেউ ইট-বালু দিয়ে, কেউ আবার শ্রম দিয়ে। আমাদের দাবি, দ্রুত যেন সড়কটি পাকাকরণ করা হয়।” ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাবিবুল ইসলাম খান শহীদ বলেন—“ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেইনের নির্দেশনায় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী একসঙ্গে দেড় কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করেছি। এতে মানুষের মুখে হাসি ফিরেছে।”উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আমিনুল ইসলাম জানান—“গৌরীপুর–কলতাপাড়া সড়কের বেহাল অংশ সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সড়কের পূর্ণাঙ্গ সংস্কারকাজ শুরু হবে।”
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর