সাবেক এনসিপি নেতা নীলা ইসরাফিল জানিয়েছেন, হান্নান মাসউদের সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি একটি অসঙ্গত ইংরেজি বাক্যে জবাব দেন। একজন প্রশ্নকারী তার কাছে জানতে চান—২৪-এর পর কীভাবে তার সম্পদ বেড়েছে এবং সে সম্পদের উৎস কী। জবাবে হান্নান মাসউদ বলেন, “It’s my security concern, where I go, how I go, I am go.”
নীলা ইসরাফিলের ভাষ্যমতে, এই উত্তরে তিনি মূল প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তিনি আরও জানান, হান্নান মাসউদ নিজেকে একজন শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দেন এবং দাবি করেন যে তিনি মাসে ৭০–৮০ হাজার টাকা আয় করেন। কিন্তু তার জীবনযাপন ও প্রকাশিত সম্পদের সঙ্গে এই আয় সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না—সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। নীলা ইসরাফিল মনে করেন, ঠিক এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েই তিনি অস্বস্তিকর ও অসংলগ্ন ইংরেজি বাক্য ব্যবহার করেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় নীলা ইসরাফিল ঘটনাটির বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন এবং হান্নান মাসউদের বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন।
হান্নান মাসউদকে উদ্দেশ করে নীলা ইসরাফিল বলেন, একজন প্রশ্নকর্তা যখন প্রশ্ন করেছেন তখন তিনি সতর্কতার সঙ্গেই করেছেন। কিন্তু হান্নান আপনি যে বললেন আপনি উত্তর দিতে বাধ্য নন।
আমি বলছি, আপনি প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য; কারণ যে মানুষটা একসময় বেড়ার ঘরে থাকত, সে হঠাৎ করে এত টাকার পাহাড়ের মালিক হলো কিভাবে? আপনি এখন জনগণের টাকায় গুলশানের আলিশান বাড়িতে থাকেন, বিলাসবহুল গাড়ি আর অগণিত সম্পত্তির মালিকানা এসবের হিসাব কোথা থেকে এলো? এই প্রশ্ন করার অধিকার আমাদের আছে। আর আপনি এটার উত্তর দিতে বাধ্য। কারণ আপনি আগে ছিলেন বেড়ার ঘরে এখন থাকেন গুলশানের আলিশানে।
নীলা ইসরাফিল আরো বলেন, আপনি (হান্নান) তো ঠিকমতো কথাই বলতে পারেন না।
আপনি কোন সাহসে থানায় গিয়ে আসামিদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। কোটার অধিকার থেকে নাকি মেধার অধিকার থেকে জনগণ সেটা জানতে চায়। নাকি আপনি কোনো পজিশন হোল্ড করেন। যদি কোনো পজিশন হোল্ড করে থাকেন সেটাও জনগণকে জানাতে হবে। আপনি সম্মুখ সারিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলছেন।
দেশটাকে আপনি কী করতে চাচ্ছেন?
নীলা ইসরাফিল বলেন, আমি প্রতিটি জনগণ, প্রতিটি নাগরিককে বলব—আপনারা প্রশ্ন রাখেন। উনারা প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য। আর যিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে কাচুমাচু করবে সে হচ্ছে দুর্নীতিবাজ। আপনারা প্রশ্ন করে তাকে নিশ্চিত করুন। এরা কিভাবে ২৪-এর পরে কোনো কাজকর্ম ছাড়াই এত সম্পদের মালিক হলো। কারা তাদের টাকা দিল এবং কোন স্বার্থে টাকা দিল—এসব প্রশ্ন করে বের করুন। কারণ কেউ তো এমনি এমনি টাকা দেয় না, পরিবর্তে কিছু একটা দিতে হয়। তারা আসলে দেশের কী দিচ্ছে সেগুলো আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। প্রশ্ন করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর