সকল চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিতকরণের দাবি ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের চার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদকের (জিএস) স্বাক্ষরিত পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
উদ্বেগের প্রকাশ করে এতে বলা হয়, ‘১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত ১০২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৩ জন শিক্ষার্থীকে কোন সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ ছাড়াই পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে নিয়োগ-গেজেট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ প্রস্তুতি, কঠিন প্রতিযোগিতা ও কমিশনের সুপারিশের মাধ্যমে মেধার স্বাক্ষর রেখে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।’
কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার প্রমাণ না থাকলে গেজেটভুক্ত করার দাবি জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়েও শুধু পারিবারিক কিংবা বংশীয় রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকরির সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে তাদের স্বপ্ন কেড়ে নেওয়া সংবিধান, নিরপেক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও সুশাসনের মৌলিক নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক।’
বিজ্ঞপ্তিতে আইন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ডাকসু, রাকসু, চাকসু, জাকসুর পক্ষ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ১৭ তম বিজেএস গেজেট বঞ্চিতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের প্রমাণ না পেলে সংশোধিত গেজেট প্রকাশের দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে বিজেএস, বিসিএস সহ সকল চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেবল মেধা ও যোগ্যতাকে একমাত্র মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা, পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে অযথা হয়রানি বন্ধ এবং কাউকে গেজেট থেকে বাদ দিতে হলে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে গেজেট বঞ্চিতদের নিজেদের বক্তব্য প্রদানের সুযোগ দিতে হবে এবং আরোপিত অভিযোগের যথাযথ জবাব প্রদান করতে সমর্থ হলে কোন ধরনের হয়রানি ব্যতীত দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাদ পড়াদের গেজেটভুক্তির দাবি জানানো হয়।
শেষাংশে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীরা নিরলস প্রচেষ্টা, মেধা এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। বিজেএস, বিসিএস সহ সকল চাকরির পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শিক্ষার্থীদের মেধা ও যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন করে একটি মেধা-ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর