২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রায় ১৭ বছর পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে সশস্ত্র বাহিনীকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীকে কোনো কাজে নিয়োজিত করলে তাদেরকে কোনো রকম রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ করতে দিতে হবে। প্যারালাল কমান্ড স্থাপন হবে আত্মঘাতী।
এ ছাড়া দেশের কোনো বাহিনীকেই সে বাহিনীর ক্লাসিক্যাল রোলের বাইরে নিয়োজিত না করতে প্রস্তাব করা হয়েছে কমিশনে। একই সঙ্গে জাতীয় বিপর্যয়ে সামরিক বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল মোতায়েনের ক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়কের ক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনা করার সুপারিশ করেছে কমিশন।
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গত রবিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন দাখিলের পর সংবাদ সম্মেলনে কমিশন প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে জে. তারেক সিদ্দিকের নেতৃত্বে ওই সময় প্যারালাল সেনা কমান্ড গঠন করা হয়েছিল, যে কারণে ঘটনাস্থলের কাছে এসেও পিলখানার ভেতর অভিযান চালাতে পারেনি সেনাবাহিনীর ৪৬ ব্রিগেড। তাদের ৩ কিলোমিটার দূরে আবাহনী মাঠের কাছে চলে যেতে বলা হয়। তৎকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির জন্যই বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ ছাড়া আমাদের বাহিনীগুলোকে দুর্বল করাও লক্ষ্য ছিল। বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করা ছিল প্রধান উদ্দেশ্য।
গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ রয়েছে এতে, যা বাস্তবায়নে সরকার উদ্যোগ নেবে।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন গণমাধ্যম খবরের সত্যতা যাচাই ছাড়াই কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রচারণার মাধ্যমে বিদ্রোহকে উসকে দিয়েছে এবং হত্যাকারীদের হত্যাকাণ্ডে উৎসাহিত করেছে—উল্লেখ করে কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি মিডিয়ার একটি ধারণাগত সমস্যা আছে। সেই ধারণাগত সমস্যা সমাধানে সশস্ত্র বাহিনীকে সচেষ্ট হতে হবে। বাংলাদেশের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালিস্ট, জিইসি ডিফেন্স অ্যানালিস্ট গড়ে তোলা সময়ের দাবি। এ জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় ও তথ্য অধিদপ্তরের অধীনে একটি কেন্দ্রীয় মিডিয়া সমন্বয় সেল গঠনের সুপারিশ করা। তথ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে মিডিয়া বিষয়ে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে মিডিয়াসমূহের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৫ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড, লাশ গুম এবং নারী ও শিশু নির্যাতন মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক চরম অধ্যায়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি এবং তাদের কোনো সভায় বিষয়টি আলোচিত হয়নি, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এ বিষয়ে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বেসামরিক প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণরূপে নির্বিকার। বিডিআর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্যারা মিলিটারি ফোর্স হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার সময় সরকারের সব সংস্থার কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর বর্তালেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় ছিল। ভারপ্রাপ্ত সচিব কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি কারণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারেননি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র সচিব বিদেশে অবস্থান করছিলেন।
সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মিডিয়া যখন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে অপপ্রচার করছিল তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং, তথ্য মন্ত্রণালয় ও তথ্য অধিদপ্তর মিডিয়াকে সঠিক তথ্য দিয়ে অপপ্রচার থেকে বিরত রাখার কোনো চেষ্টা করেনি। বেসামরিক প্রশাসন হত্যাকাণ্ডের সময় সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এমন জাতীয় দুর্যোগে সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয় যেন স্ব-উদ্যোগে এগিয়ে আসতে পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বেসামরিক আমলাতন্ত্রে সততা, নৈতিকতা, নিরাপত্তা, জবাবদিহি, নিঃস্বার্থতা, স্বচ্ছতা ও নেতৃত্ব বিকাশের জন্য শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। আমলাতন্ত্রের প্রশিক্ষণের মূলনীতি হতে হবে সততা, নৈতিকতা, নিরাপত্তা, জবাবদিহিতা, নিঃস্বার্থতা, স্বচ্ছতা ও নেতৃত্বের বিকাশ এবং দেশপ্রেম। বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এই মূলনীতি কর্মস্থলে প্রয়োগ করতে হবে। দলীয় লেজুড়বৃত্তি পরিহার করে আত্মমর্যাদার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া পদোন্নতি, বদলি ও মূল্যায়নে রাজনৈতিক প্রভাব দূর করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর করতে হবে। এই ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের সিভিল সার্ভিস থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধানের বক্তৃতা ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় যেসব অফিসার আবেগ প্রবণ হয়ে কথা বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছয়জন অফিসারকে পরবর্তীতে চাকরিচ্যুত করা হয়। সহকর্মী অফিসারদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে ব্যথিত হয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। উক্ত ছয়জন অফিসারকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পুনর্বাসনের সুপারিশ করেছে কমিশন। চাকরিচ্যুত ছয় সেনা কর্মকর্তা হলেন—বিএ-৩১৩২ লে. কর্নেল মোঃ সামসুল ইসলাম, বিএ-৩৩৬০ লে. কর্নেল মাহদী নাছরুল্লাহ শাহীর, বিএ-৩৫৬৩ লে. কর্নেল মোঃ শফিউল হক চৌধুরী, বিএ-২৬১৭ মেজর মোঃ মোহসিনুল করিম, বিএ-৬৪৯১ ক্যাপ্টেন হাবিবা ইসলাম এবং বিএ-৬৫৬০ ক্যাপ্টেন একেএম আন্নুর হোসেন।
এ ছাড়া কমিশন তাদের প্রতিবেদনে তাপস হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসিয়ে অন্যায়ভাবে পাঁচজন অফিসারকে চাকরিচ্যুতিসহ জেল দেওয়া হয়। তাঁদের শাস্তি প্রত্যাহার-পূর্বক যথাযোগ্য মর্যাদায় পুনর্বাসনের সুপারিশ করা হয়েছে। এই পাঁচজন সেনা কর্মকর্তা হলেন—বিএ-৫৫৯০ মেজর ডা. হেলাল মুহাম্মদ খান, পিএসসি, বিএ-৬১১৫ ক্যাপ্টেন মোঃ রেজাউল করিম, বিএ-৬৪২৫ ক্যাপ্টেন খন্দকার রাজীব হোসেন, বিএ-৬৪২৮ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফুয়াদ খান শিশির এবং বিএ-৬৭০১ ক্যাপ্টেন মোঃ খান সুবায়েল বিন রফিক।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যে তিনজন বিডিআর সদস্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন—তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর মোঃ নূরুল হককে এরই মধ্যে শহীদ ঘোষণা করা হয়েছে। আরডিও-৮৭ এডি খন্দকার আব্দুল আউয়াল এবং জেসিও-৪৩৭৭ সুবেদার সহকারী মোঃ আবুল কাশেমকে শহীদ ঘোষণা করে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হলো। এ ছাড়া বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সময় বিডিআরের মালিসহ যে পাঁচজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন তাঁদেরকেও শহীদ ঘোষণা এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে সুপারিশ করেছে কমিশন।
কমিশনের প্রতিবেদনে বিজিবিতে কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি এবং মনোবল ও নৈতিকতার উন্নয়নের সুপারিশ করা হয়। পদোন্নতি ও পুরস্কার প্রদান প্রক্রিয়ায় লিখিত ও ঘোষিত নীতিমালার আলোকে সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতাভিত্তিক নীতি অনুসরণ করার পাশাপাশি সবার জন্য উন্নত রেশন, বাসস্থান, চিকিৎসা ও পারিবারিক সুবিধা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাকরণ, মানসিক ও নৈতিক সহায়তা প্রদানে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি বিশেষ ক্ষেত্রে ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট ও সাইকোলজিক্যাল ইভালুয়েশন প্রোগ্রাম’ চালু করার সুপারিশ করা হয়েছে।
যে কোনো অপপ্রচার কিংবা গুজব দমনের লক্ষ্যে ডিজিটাল মনিটরিং এবং ফিজিক্যাল সিকিউরিটির পাশাপাশি নিয়মিত সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালু রাখতেও প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া সব স্তরের সদস্যদের মধ্যে আন্তরিকতা ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করার তাগিদ দিয়ে বলা হয়েছে, চেইন অব কমান্ডকে স্বচ্ছতার সঙ্গে এমনভাবে কাজ করতে হবে, যেন কোনো অপতথ্য, অব্যবস্থাপনা বা অনিয়ম থেকে কোনো স্তরে ক্ষোভের জন্ম না নেয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে প্রণোদনা এবং বিজির এডি ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের সীমান্ত ভাতা প্রদান করারও সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিজিবি সদস্যদের নিয়মিত প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে কমান্ড চ্যানেলের প্রতি অনুগত রাখার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে এরই মধ্যে ঘোষিত সেনা শহীদ দিবসকে ‘গ’ শ্রেণি হতে উপরের শ্রেণিতে উন্নীত করার সুপারিশ করে কমিশন বলেছে—এই দিনে সশস্ত্র বাহিনী ও অন্য সব বাহিনীতে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার এবং হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারী ও সহায়তাকারীদের স্বরূপ উন্মোচনের মাধ্যমে এই ঘটনার প্রকৃত ইতিহাস চর্চা করা প্রয়োজন।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্টে যে সব রাজনৈতিক নেতার নাম এসেছে তারা হলেন, শেখ হাসিনা, শেখ ফজলে নুর তাপস, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, ওয়েরসাত হোসেন বেলাল, মাহবুব আরা গিনি, আসাদুজ্জামান নুর, তানজিদ আহমদ সোহেল তাজ, মেজর জেনারেল তারিক আহমদ সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিকী।
পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছে, সাবেক আইজিপি, নুর মোহাম্মদ, ডিএমপি কমিশনার নাইম আহমদ, তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি ও বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলম, অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহার আকন্দ ও তার সাথে তদন্ত দল।
মিডিয়ার ব্যাক্তিদের মধ্যে, মুন্নী সাহা, সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম বুলবুল ও জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন)।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পর তিনটি মৃতদেহ অসনাক্ত অবস্থায় ছিল। অন্যদিকে তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে অসনাক্ত মৃতদেহ তিনটি যাঁদের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি, তাঁদের আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়া।
মেজর সৈয়দ গাজ্জালী দস্তগীর এবং ডিএডি মোঃ ফসিহ উদ্দিনের আত্মীয়স্বজনের এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও মেজর মো. তানভীর হায়দার নূরের স্ত্রী তাসনুভা মাহা এখন পর্যন্ত প্রদত্ত মৃতদেহটিকে তাঁর স্বামীর মৃতদেহ হিসেবে গ্রহণ করেননি। মিসেস তাসনুভা মাহার দাবির প্রতি সম্মান রেখে তাঁর স্বামীকে ‘মিসিং ইন অ্যাকশন’ দেখিয়ে দেশের প্রচলিত আইন ও সেনা আইন অনুযায়ী বিষয়টি সুরাহা করার সুপারিশ করা হয়।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর