রাজশাহীর বাগমারায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার বাড়ি থেকে অবৈধভাবে মজুদ করা ৪৪৪ বস্তা সার জব্দ করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ডাঙ্গাছি গ্রামে কৃষি বিভাগ এবং বাগমারা থানা যৌথভাবে এই অভিযান চালায়।
অভিযুক্ত সার মালিক ওয়ারেস আলী ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। তিনি ভবানীগঞ্জের গরুহাটায় খুচরা সার বিক্রি করেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ওয়ারেসের খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিবন্ধন আছে। ডিলারদের কাছ থেকে সার কিনে দোকানে রেখে খুচরা বিক্রি করতে পারবেন। তবে বাড়িতে মজুত করা অবৈধ। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সমন্বিত সার নীতিমালা ও সার ব্যবস্থাপনায় বলা হয়েছে, অনুমোদিত ডিলার পয়েন্টের বাইরে সার মজুত বা রাখা যাবে না। তিনি নিজ বাড়িতে রেখেছেন, যা অবৈধ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাড়িতে সার মজুতের খবর পেয়ে কৃষি দপ্তর ও পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানের খবর পেয়ে ওয়ারেস পালিয়ে যান। পরে বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ২০০ বস্তা টিএসপি, ২০০ বস্তা ডিএপি ও ৪৪ বস্তা এমওপি সার জব্দ করা হয়। বাড়িটি সিলগালা করা হয়েছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, দুজন ডিলারের লাইসেন্স ব্যবহার করে ওয়ারেস সারের ব্যবসা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন। তবে সারগুলো কালোবাজারির জন্য নিজের বাড়িতে মজুত করা হয়েছিল।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ারেস, জব্দ করা সব সার বৈধ। কাগজপত্রও আছে। উপজেলা বিএনপির এক নেতা আর পৌরসভার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা করেন তিনি। এসব সার রাজশাহী বিএডিসি গুদাম থেকে তোলা। ভবানীগঞ্জ বাজারের দোকানে সার রাখার পরিবেশ না থাকায় বাড়িতে রেখেছিলেন।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। সারগুলো তাদের হেফাজতে রয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম জানান, অনুমোদিত ডিলার ছাড়া সার রাখার কোনো সুযোগ নেই। শুনেছি সে দুজন ডিলারের সার বিক্রি করে। এভাবে সার বিক্রি করা যায় কিনা– এমন প্রশ্নে তাঁর ভাষ্যমতে বিক্রি করা যায় না। এভাবে সার রাখার বা বিক্রি করার কোনো বৈধতা নেই।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর