ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শেষ হতেই পঞ্চগড়ে শীতের দাপট বেড়ে গেছে। হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় আজ শনিবার জেলার জনজীবন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ, ফলে ভোর থেকেই কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হয় এলাকায়।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরপর টানা তিন দিন (বুধবার-শুক্রবার) তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ, আর ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে দৃশ্যমানতা কমে গিয়ে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলতে হয়। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার সকালে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে— চারপাশ জুড়ে হালকা কুয়াশা, প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে চলাচল কমে গেছে। কেউ গরম কাপড় জড়িয়ে কাজে বের হলেও অনেকেই শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। সূর্য ওঠার পরেও রোদের তাপ মিলছে না তেমন।
শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নদীতে কাজ করা বালু শ্রমিকেরা। সকাল থেকেই নদীর পানিতে নেমে বালু তুলতে হয় তাদের; ঠান্ডা পানিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে কাজ করা এখন অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “টানা কয়েক দিন তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছিল। আজ তা নেমে ১১ ডিগ্রিতে এসেছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই এই অবস্থা— এর মানে সামনের দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।”
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর